কোন কোন পুষ্টিকর খাবার থেকে ওজন বাড়তে পারে? ছবি: ফ্রিপিক।
শিঙাড়া-জিলিপি খেলেই যে ওজন বৃদ্ধি হবে, তা নয় কিন্তু। শুধু এই দু’টি খাবারের ঘাড়ে সব দোষ চাপালে চলবে না। কেন্দ্রের স্বাস্থ্য মন্ত্রকের অধীনস্থ ‘অয়েল অ্যান্ড ফ্যাট বোর্ড’স্পষ্ট করে বলেছে, অতিরিক্ত চিনি, অধিক মাত্রায় ফ্যাট আছে, এমন খাবারই ক্ষতিকর। সেই তালিকায় শিঙাড়া, জিলিপি বা চপ-পকোড়া চলে এলেও, আরও অনেক খাবারই আছে, যা ভাজাভুজির বিকল্প হিসেবে খাওয়া হয়ে থাকে। সেগুলির মধ্যে কোনও কোনওটিই আবার ওজন খুব দ্রুত বাড়িয়ে দিতে পারে।
কোন কোন খাবার খেলে ওজন বৃদ্ধি হতে পারে?
ফলের রস
তাজা ফল স্বাস্থ্যকর হলেও, ফলের রস থেকে ফাইবার বাদ পড়ে যায়। প্রাকৃতিক শর্করা (ফ্রুক্টোজ) সরাসরি রক্তে মিশে যায়, যা রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি করে। বোতলজাত ফলের রসে প্রায়শই অতিরিক্ত চিনি মেশানো থাকে। এর থেকে ক্যালোরি চড়চড় করে বাড়ে।
স্মুদি
বাড়িতে তৈরি স্মুদি স্বাস্থ্যকর হতে পারে, কিন্তু দোকান থেকে যে স্মুদি কিনে খান, সেগুলি মোটেই স্বাস্থ্যকর নয়। স্মুদিগুলোতে প্রায়শই অতিরিক্ত চিনি, আইসক্রিম বা ক্রিম মেশানো থাকে, যা ক্ষতিকর। মাঝারি মাপের এক গ্লাস স্মুদিতে ৩০০-৫০০ ক্যালোরি বা তার বেশিও থাকতে পারে।
স্যালাড ড্রেসিং
স্যালাড পুষ্টিকর খাবার, তাতে কোনও সন্দেহই নেই। কিন্তু ভুল ড্রেসিং পুরো বিষয়টাকে উল্টে দিতে পারে। ক্রিম দেওয়া ড্রেসিং, মেয়োনিজ় -ভিত্তিক ড্রেসিং বা অতিরিক্ত সস দেওয়া ড্রেসিং ট্রান্স ফ্যাটের মাত্রা বাড়িয়ে দিতে পারে।
মাল্টিগ্রেন বিস্কুট, রুটি, পাস্তা
ময়দা খাওয়া ছাড়বেন বলে মাল্টিগ্রেন বিস্কুট, মাল্টিগ্রেন আটার রুটি বা পাস্তা খাচ্ছেন। এগুলিতে ফাইবার বেশি থাকে বলেই লেখা হয়। তবে এতে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের মাত্রাও বেশি থাকে। এগুলি বেশি খেলে বা চিজ় অথবা মাখনের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ক্যালোরি বাড়তে বাধ্য।
বাদাম
বাদামে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট থাকে, তাই বাদাম খাওয়া পুষ্টিকর নিঃসন্দেহে। কিন্তু খেতে হবে পরিমিত মাত্রায়। আধ কাপ বা ৩২ গ্রামের মতো কাঠবাদামে ১৭০ ক্যালোরি থাকে। সকালে খালি পেটে ২-৩টি ভেজানো কাঠবাদাম খেলে উপকার হবে। কিন্তু দিনভর যদি খিদে মেটাতে কাঠবাদাম, আখরোট, পেস্তা খেতেই থাকেন, তা হলে ক্যালোরির মাত্রা বাড়বে।