Body Pain

জিমে শরীরচর্চা করে বিছানায় শয্যাশায়ী? ৫ টোটকায় আবার ফিরে পাবেন হারানো উদ্যম

জিমে ভারী ওজন তোলার ফলে শরীরের কোনও অংশে যদি কোনও ব্যথা বা চোট লাগে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ এপ্রিল ২০২৩ ১৭:০০
Share:

শরীরচর্চার শুরুতেই যদি ভারী ওজন তুলতে যান, সে ক্ষেত্রে চোট লাগার আশঙ্কা বেশি। ছবি: সংগৃহীত।

শখ করে জিমে ভর্তি হয়েছেন। এক দিনও বাদ না দেওয়ার পণ করে ফেলেছেন। কিন্তু হল কী দু’দিন যেতে না যেতেই গায়ে, হাত, পায়ে ব্যথার চোটে আত্মারাম খাঁচাছাড়া হওয়ার জোগাড়। এ দিকে, এক গাদা টাকা দিয়ে ভর্তি হয়ে সপ্তাহখানেক যেতে না যেতে ছেড়ে দিতে পারলেই যেন বেঁচে যান। প্রশিক্ষকদের মতে, জিমে ভর্তি হওয়ার শুরুতে এমনটা হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু সেই ব্যথা কিছু দিন শরীরচর্চা করতে করতে কমে যাওয়ার কথা। ভারী ওজন তোলার ফলে শরীরের কোনও অংশে যদি ব্যথা বা চোট লাগে, ব্যথা যদি দীর্ঘতর হতে থাকে, সে ক্ষেত্রে অবশ্যই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন। এ ছাড়া, আরও কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখা জরুরি।

Advertisement

১) ঠিক মতো গা গরম করা

সময়ের অভাবে অনেকেই জিমে গিয়ে এই ওয়ার্ম-আপের পর্যায়গুলি এড়িয়ে যেতে চান। তবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর শরীরে পেশিগুলি এই পরিশ্রম করার জন্য প্রস্তুত থাকে না। রক্ত সঞ্চালনও স্বাভাবিকের চেয়ে বেশ মন্থর থাকে। তাই পেশিতে টান ধরা, আচমকা লেগে যাওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। প্রশিক্ষকরা তাই ভারী শরীরচর্চায় যাওয়ার আগে গা গরম করার উপর জোর দেন।

Advertisement

২) সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা

চিকিৎসকদের মতে, শুধু জিম করলেই যে শরীরের গঠন সুন্দর হবে, বিভিন্ন জায়গায় ব্যথা কমে যাবে, এমনটা কিন্তু নয়। তার জন্য সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করা জরুরি। সঠিক পদ্ধতি না জানলে যে লক্ষ্য নিয়ে শরীরচর্চা করছেন, তা কোনও দিনই পূরণ হবে না। উল্টে ব্যথা বেড়ে যাবে।

ব্যথা কমাতেও গেলেও শরীরচর্চা করার পর বিশ্রাম নিতে হবে।       ছবি: সংগৃহীত।

৩) জোর না করা

শরীরচর্চার শুরুতেই যদি ভারী ওজন তুলতে যান, সে ক্ষেত্রে চোট লাগার আশঙ্কা বেশি। শরীরচর্চার যে কোনও মাধ্যমের নিয়মই হল একেবারে সাধারণ পর্যায় থেকে শুরু করে ধীরে ধীরে কঠিন ব্যায়ামের দিকে যাওয়া। দেহের ওজন বুঝে ওজনের অনুপাত বাড়াতে হয়। জোর করে ওজন তোলার প্রবণতা থাকলে, চোট পাওয়া সম্ভাবনাও থাকে।

৪) পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খাওয়া

সারা দিনে পর্যাপ্ত পরিমাণে জল না খেলে এমনিতেই পেশিতে টান ধরতে পারে। তার উপর শরীরচর্চা করার সময়ে অতিরিক্ত ঘামে শরীর থেকে সোডিয়াম, পটাশিয়ামের ভারসাম্য বিঘ্নিত হয়। শরীর ভিতর থেকে শুকিয়ে যেতে শুরু করে। যার ফলে জিমে গিয়ে শরীরে হওয়া ক্ষত সারতেও সময় লেগে যায়।

৫) বিশ্রাম নিতে ভুলবেন না

জিমে গিয়ে শরীরচর্চা করার ফলে যে কায়িক পরিশ্রম হয়, তার ফলে ক্লান্তি নেমে আসা স্বাভাবিক। শরীরকে এত কষ্ট দেওয়ার পর আবার আগের পর্যায়ে ফিরে যেতে গেলে পর্যাপ্ত বিশ্রাম প্রয়োজন। ব্যথা কমাতেও গেলেও শরীরচর্চা করার পর বিশ্রাম নিতে হবে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন