মিষ্টি খাওয়া বন্ধ না করেও সেই ইচ্ছাকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। ছবি: সংগৃহীত।
ডায়েটে শর্করার পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে একাধিক সমস্যা হতে পারে। তার মধ্যে দেহের মেদবৃদ্ধি, দাঁতের ক্ষয় এবং ইনসুলিনের কর্মক্ষমতা কমে যাওয়া অন্যতম। অনেকেই মিষ্টি জাতীয় খাবার খাওয়ার উপর রাশ টানতে পারেন না। কিন্তু মিষ্টি খেয়েও দেহে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব। তার জন্য কয়েকটি বিষয় খেয়াল রাখা উচিত।
১) শর্করা নিয়ন্ত্রণ: মিষ্টি জাতীয় খাবারে রাশ টানার জন্য রক্তে শর্করার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণ করা উচিত। উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স যুক্ত খাবার খেলে বা দীর্ঘ ক্ষণ খাবার না খেয়ে থাকলে দেহে শর্করার চাহিদা বৃদ্ধি পায়। তার ফলে অনেকেই বেশি মিষ্টি জাতীয় খাবার খেয়ে ফেলেন। কিন্তু সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রিত থাকলে এই ধরনের সমস্যা হবে না।
২) সুষম ডায়েট: কার্বোহাইড্রেট, ফাইবার এবং প্রোটিন ডায়েটে থাকলে পেট অনেক ক্ষণ ভর্তি থাকে। তার ফলে শরীরে শক্তির অভাব ঘটে না। ফলে অতিরিক্ত শর্করার চাহিদা তৈরি হয় না।
৩) স্বাস্থ্যকর শর্করা: শর্করার অভাব মেটাতে চিনি বা কৃত্রিম চিনির পরিবর্তে গুড়, মধু বা কোকোনাট সুগার ব্যবহার করা যায়। আবার মিষ্টি খেতে ইচ্ছে করলে মিষ্টি ফল, ডার্ক চকোলেটও ডায়েটে রাখা যায়।
৪) লোভ সংবরণ: ক্লান্তি, উদ্বেগ, একাকিত্ব বা অবসাদ খাওয়াদাওয়ার ধরনে পরিবর্তন ঘটাতে পারে। তাই শর্করা নিয়ন্ত্রণ করতে ডায়েটের পাশাপাশি মানসিক স্বাস্থ্যের উপরে সর্বাগ্রে নজর দেওয়া উচিত।
৫) মিষ্টি বাদ নয়: ডায়েট থেকে সম্পূর্ণ রূপে মিষ্টি জাতীয় খাবার বাদ দিলে দেহে শর্করার অভাব দেখা দেবে। তা অনেক সময়ে মনকে প্রভাবিত করতে পারে। তাই নিয়ন্ত্রিত মাত্রায় শর্করা জাতীয় খাবার খাওয়া যেতে পারে। সারা সপ্তাহ যাঁরা মিষ্টি খাচ্ছেন না, তাঁরা এক দিন ‘চিট ডে’ রাখতে পারেন।