ভ্রমণকালে খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হয়? ছবি সহায়তা: এআই।
ভ্রমণকালে খাওয়াদাওয়ার অনিয়ম হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু একই সঙ্গে বাইরে ছুটি কাটাতে গেলে খাবারদাবার নিয়ে সাবধানী হওয়াও প্রয়োজন। নয়তো খাদ্যে বিষক্রিয়া থেকে শুরু করে ওজন বেড়ে যাওয়ার মতো সমস্যা দেখা দিতে পারে। এত দিনের ডায়েট করার পরিশ্রমই বৃথা হয়ে যেতে পারে। তাই বেড়াতে যাওয়ার সময়ে কিছু কৌশল মাথায় রাখা দরকার। যাতে আনন্দও মাটি না হয়, ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে, খাওয়াদাওয়াও স্বাস্থ্যকর হয়।
১। বাইরে খাওয়াদাওয়ার সময়ে যা খাবার পাবেন, তা-ই খেয়ে নেবেন না। যা পাওয়া যাচ্ছে, তার মধ্যে স্বাস্থ্যকর খাবারটাই বেছে নেবেন। জলখাবারে কর্নফ্লেক্স, দানাশস্য, চিঁড়ে, পাউরুটি, রুটি ইত্যাদির উপর নির্ভর করলে ভাল। যাঁর যে ধরনের খাবার সহ্য হয়, তিনি তা-ই খাবেন।
২। কী খাচ্ছেন, কতখানি খাচ্ছেন, সে সম্পর্কে সচেতন থাকার পাশাপাশি, খাওয়ার সময়ও বজায় রাখতে হবে। অনেকেই যাত্রা করার সময়ে বমি বা শৌচালয়ে যাওয়ার ভয়ে খাবার না খেয়ে থাকেন। কিন্তু তাতে গ্যাসের সমস্যা বাড়তে পারে। তাই অল্প করে হলেও পেট ভর্তি রাখতে হবে।
পুষ্টিবিদের মতে, ভাত আর মাছভাজা সবচেয়ে নিরাপদ। ছবি: এআই।
৩। পুষ্টিবিদ রেশমী রায়চৌধুরী পরামর্শ দিচ্ছেন, ‘‘রাস্তায় থাকলে আমি ব্যাগের মধ্যে বায়ুরোধী টিফিন বাক্স রাখি। আর কয়েকটি জ়িপলক ব্যাগ আর ভাল মানের জলের বোতল। কখন খাবার পাব, ঠিক না থাকলে টিফিন বাক্স ভরে স্ন্যাক্স নিয়ে যেতে হবে। হালকা সেঁকা পাউরুটি, কমলালেবু-আপেলের মতো ২-৩টি ফল, সঙ্গে খানকয়েক ড্রাই ফ্রুট আমন্ড, আখরোট, আঞ্জিরও থাকলে ভাল। চিপ্স, নাচো দিয়ে মুখ চালালে বদহজম, ডিহাইড্রেশনে ভোগার ঝুঁকি থাকে।’’
৪। বাইরে গিয়ে ডায়েট ফুড হিসেবে স্যুপ বা স্যালাড খাওয়া উচিত নয় বলে জানাচ্ছেন রেশমী। অনেক সময়ে এই ধরনের পদে এমন ড্রেসিং দেওয়া হয়, যাতে উচ্চ-ক্যালোরি থাকে। পুষ্টিবিদের মতে, ভাত আর মাছভাজা সবচেয়ে নিরাপদ। তবে রাতের বেলায় ভাত এড়িয়ে চলা ভাল। ভ্রমণ উপভোগ করতে হলে হালকা খাওয়াদাওয়ার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি। বেশি খেয়ে অসুস্থ হলে উল্টে বেড়ানোই মাটি হবে।
৫। জল খেলে যে কেবল শরীর হাইড্রেটেড থাকে, তা নয়, জাঙ্ক-ফুডের প্রতি আকাঙ্ক্ষাও কমে। তাই পর্যাপ্ত জল পান করা দরকার।