দীপাবলির পর নিজের যত্ন নিন। —ছবি : সংগৃহীত
উৎসবের মরশুম প্রায় শেষ। এখন থেকেই নিজের যত্ন নেওয়া শুরু করুন। একেই আবহাওয়া বদলানোর ফলে শরীর দুর্বল হয়ে থাকে অনেকের। তার মধ্যে রোজ রোজ বাইরে খাওয়া, হইহুল্লোড়, রাত জেগে ঠাকুর দেখা— এত অত্যাচার সহ্য করতে পারে নাকি শরীর? কালীপুজো, ভাইফোঁটার পরই তাই প্রয়োজন নিজের প্রতি যত্নআত্তি। ত্বকচর্চা হোক বা কেশচর্চা, সামগ্রিক ভাবে বিশ্রাম প্রয়োজন। আর তাই রইল কয়েক টুকরো কৌশল—
১. ত্বকচর্চা- ত্বকের স্বাভাবিক অবস্থা, জেল্লা ফিরিয়ে আনার জন্য প্রাথমিক ভাবে সপ্তাহে দু’বার করে এক্সফোলিয়েট করা উচিত। তাতে ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ দ্রুত দূর হবে। তার পর পুষ্টিগুণে ভরা ফেস মাস্ক ব্যবহার করুন। সবচেয়ে ভাল হয় যদি ঘরেই অ্যালো ভেরা এবং মধু দিয়ে মাস্ক বানিয়ে নিতে পারেন। সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে ভুলবেন না। রোদ না উঠলেও মাখতে হবে। ত্বককে মাঝেমধ্যেই ময়েশ্চারাইজ় করতে থাকুন। এই মুহূর্তে যা আবহাওয়া, তাতে ত্বকে টান পড়াটা স্বাভাবিক। তাই ময়েশ্চারাইজ়ারের ব্যবহার বাড়ানো উচিত। পাশাপাশি, হায়ালুরোনিকযুক্ত ফেস সিরামও রাখুন রুটিনে। রোজ মেকআপ করে বাইরে বেরনোর অভ্যাস থাকলে, অবশ্যই বাড়ি ফিরে মুখ পরিষ্কার করে নিতে হবে।
২. কেশচর্চা- উৎসব মানেই বার বার চুলে হেয়ার স্ট্রেটনার, হেয়ার জেল, হেয়ার স্প্রে-র মতো সামগ্রীর ব্যবহার। তাতে যে পরিমাণ ক্ষতি হয় চুলে, উৎসবের শেষে তা পূরণ করার জন্য খাটতে হবে। তা ছাড়া দীপাবলির সময়ে পরিবেশ দূষণের কারণে চুল এমনিতেই রুক্ষ হয়ে যায়। তাই তেল গরম করে মাথার মাসাজ করা দরকার নিয়মিত। রাতে তেল মালিশ করে সকালে উঠে শ্যাম্পু আর কন্ডিশনার দিয়ে ধুয়ে নিলে ভাল হয়। এর ফলে চুলের গোড়া মজবুত হবে। তা ছাড়া কিছু দিন হেয়ার স্ট্রেটনার ব্যবহার না করাই ভাল।
৩. দুর্গাপুজো থেকে দীপাবলি পর্যন্ত একটানা মিষ্টি আর ভাজাভুজি খাওয়া হয়েছে? তা হলে আপাতত কিছু দিন খাদ্যাভ্যাসে রাশ টানা উচিত। ফাইবারে ভর্তি ফল, সব্জির পাশাপাশি পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে হবে। এর ফলে ধীরে ধীরে গ্যাস, অম্বল, ব্লোটিংয়ের সমস্যা কমে যেতে পারে। ওজনও নিয়ন্ত্রণে আনা দরকার, তাই ছোটখাটো নিয়মগুলি কাজে আসতে পারে। সকালে উঠে এক গ্লাস গরম জলের মধ্যে অল্প মধু মিশিয়ে খেলে শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও বেরিয়ে যেতে পারে।