খাওয়ার সময়ে টিভি দেখবেন না, আর কী পরামর্শ দিলেন পুষ্টিবিদ? ছবি: ফ্রিপিক।
কেবল মেপে খেলেই হবে না, সেই সঙ্গে বিশেষ কিছু নিয়মও মানতে হবে। ইদানীং কালে প্রদাহজনিত সমস্যায় ভুগছেন অনেকেই। অভিনেত্রী সামান্থা রুথ প্রভু, বিদ্যা বালন-সহ আরও কয়েকজন অভিনেত্রী প্রদাহ জনিত অসুখে ভুগছেন বলে জানিয়েছিলেন। তাঁদের জন্য বিশেষ ডায়েটের পরামর্শও দিয়েছিলেন তাঁদের পুষ্টিবিদেরা। এই প্রদাহ কেন হয়, কী ভাবে খাওয়াদাওয়া করা উচিত, এই নিয়ে কমবয়সিদের পরামর্শ দিয়েছেন করিনা কপূরের পুষ্টিবিদ রুজুতা দিওয়েকর।
রুজুতা জানাচ্ছেন, এখনকার ছেলেমেয়েরা তাড়াহুড়ো করে খায়। খাওয়ার সময়ে টিভি চালু থাকে। টিভির দিকে তাকিয়ে খাওয়া, হোয়াট্সঅ্যাপ বা ইনস্টাগ্রামের পাতায় স্ক্রল করতে করতে খাওয়ার অভ্যাস খুবই অস্বাস্থ্যকর। এতে খাবার সময় নিয়ে চিবিয়ে খাওয়া হয় না বেশির ভাগ সময়েই। তা ছাড়া তাড়াহুড়ো করে খেলে তা ঠিকমতো বিপাকও হয় না। পাকস্থলীতে সেই খাবার জমতে থাকে এবং প্রদাহ তৈরি করে।
ওজন কমাতে হলে ও প্রদাহ জনিত সমস্যা দূর করতে হলে সময় নিয়ে ধীরে ধীরে খেতে হবে। খাওয়ার সময়ে অন্য কোনও দিকে মন দিলে চলবে না। তা ছাড়া কী খাচ্ছেন তা-ও গুরুত্বপূর্ণ। এক জন সুস্থ মানুষের সারা দিনের খাওয়ার তালিকায় সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতে হবে প্রাতরাশে। সারা রাত শরীরের কোষগুলির মেরামতি চালায় শরীর। তাই সকালে তাকে দিতে হবে পুষ্টিগুণে ঠাসা খাবার। সকালের খাবারে অনেকেই সিরিয়াল ফুডের দিকে ঝোঁকেন। শরীরের জন্য তা অত্যন্ত ক্ষতিকর। প্যাকেটবন্দি ওটস, কর্নফ্লেক্স বাদ দিয়ে তাই দেশীয় খাবার চিড়ে, সুজিতে আস্থা রাখুন। ইডলি, তরকারি ছাড়া ধোসা এগুলোও ভাল বিকল্প। সঙ্গে রাখুন ডিম সেদ্ধ।
ব্রাউন রাইস, ওট্স, রাগির মতোর দানাশস্য, সবুজ শাকসব্জি, ফল, মাছ খেলে প্রদাহ কমতে পারে। ডায়েটে রাখতে পারেন কাঠবাদাম, চিয়া বীজ, সূর্যমুখীর বীজ। কাঁচা হলুদ ও আদাতেও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান রয়েছে। যে কোনও রকম চকোলেট, চিনি দেওয়া ঠান্ডা পানীয় খাওয়া বন্ধ করতে হবে। জল খান প্রচুর। ডায়েটের পাশাপাশি সপ্তাহে অন্তত ১৫০ মিনিট যোগা, ওয়েট নিয়ে ব্যায়াম, দৌড়নো বা হাঁটা ইত্যাদি অবশ্যই রাখুন রুটিনে।