সুগার ধরা পড়লে সকালে কী কী খাবেন না? ছবি: ফ্রিপিক।
ডায়াবিটিস থাকলে খাওয়াদাওয়ায় চলে আসে নানা বিধি-নিষেধ। শর্করার মাত্রা স্বাভাবিকের তুলনায় বেড়ে গেলেই রাশ টানতে হয় খাওয়াদাওয়ায়। সুগার হঠাৎ করে বেড়ে গেলে যেমন মিষ্টি, আলু, কন্দজাতীয় খাবার খাওয়া ছাড়তে হয়, তেমনই মিষ্টি জাতীয় কোনও খাবারও খাওয়া যায় না। এত দিন যা যা খেতেন, তার মধ্যে থেকে অনেক পছন্দের খাবারই বাদ দিতে হয়। বিশেষ করে সকালের জলখাবার খুব বুঝেশুনে খেতে হয়। কোন কোন খাবার সকালে মুখেই তুলবেন না, তা জেনে রাখা জরুরি।
ডায়াবিটিস হলে সকালের জলখাবারে কী কী খাবেন না?
ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল
কর্নফ্লেক্স তো বটেই, নানা ধরনের ও স্বাদের ব্রেকফাস্ট সিরিয়াল এখন পাওয়া যায়। বাড়ির ছোটদেরও তা খাওয়ানো হয়। এগুলিতে চিনি একেবারেই নেই বলে ভাবেন অনেকেই। আসলে কর্নফ্লেক্স হোক বা সিরিয়াল, সবেতেই স্বাদের জন্য চিনি বা সিরাপ মেশানো হয়েই থাকে। কোনও কোনওটিতে আবার মাত্রাতিরিক্ত মধুও মেশানো হয়। তাই এগুলি খাওয়া যাবে না।
পাউরুটি-জ্যাম
ময়দার পাউরুটি ডায়াবিটিসের নৈব নৈব চ। মাল্টিগ্রেন পাউরুটি চলতে পারে। তবে তাতে মাখন বা পুরু করে জ্যাম মাখিয়ে খেলেই বিপদ। তার চেয়ে ব্রাউন ব্রেডের সঙ্গে ডিম খেতে পারেন। সঙ্গে রাখতে পারেন যে কোনও একরকম মরসুমি ফল।
ফ্লেভারড লো ফ্যাট ইয়োগার্ট
এই সব ইয়োগার্ট বাজার থেকে কেনার সময় লেবেল পড়ে মনে হয় লো ফ্যাট খাবার কিনছি। কিন্তু প্রকৃতপক্ষে এই সব ফ্লেভারড ইয়োগার্টে প্রচুর পরিমাণ চিনি ও কৃত্রিম উপাদান থাকে। যার ফলে শুধু ওজন বাড়ার ঝুঁকিই নয়, রক্তে শর্করাও বাড়িয়ে দিতে পারে অনেকটা।
প্যাকেটজাত ফলের রস এবং স্মুদি
প্যাকেটজাত ফলের রস এবং স্মুদিতে প্রচুর পরিমাণে চিনি যোগ করা হয়। এই সব ফলের রসে ম্যাপেল সিরাপ, সুক্রোজ় অত্যধিক পরিমাণে মেশানো থাকে। তাই প্যাকেটজাত ফলের রস বেশি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রা বেড়ে যেতে পারে।