Diabetes

যথাযথ পরিমাণে খেলে রোজের এই সাধারণ আনাজের রসেই কি জব্দ হতে পারে ডায়াবিটিস?

রক্তে শর্করার পরিমাণ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা নিয়ে গবেষণাও কম নেই। তেমনই এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হল, একটি আনাজের রস খেলেই নাকি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে ডায়াবিটিস।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৯ অক্টোবর ২০২২ ১৬:৫৬
Share:

ডায়াবিটিসের মহৌষধ লুকিয়ে আছে রান্নাঘরেই? প্রতীকী ছবি

ডায়াবিটিসের সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। তা ছাড়া ডায়াবিটিস কখনও একা আসে না। এই রোগের হাত ধরেই আসে কোলেস্টেরল, উচ্চ রক্তচাপের মতো নানাবিধ সমস্যাও। রক্তে ইনসুলিনের ভারসাম্য বিগড়ে যাওয়াই এর অন্যতম প্রধান কারণ। রক্তে শর্করার পরিমাণ কী ভাবে নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়, তা নিয়ে গবেষণাও কম নেই। তেমনই এক গবেষণাপত্রে দাবি করা হল, যথাযথ পরিমাণে পেঁয়াজের রস খেলেই নাকি নিয়ন্ত্রণে থাকতে পারে রক্তে শর্করার মাত্রা।

Advertisement

নাইজিরিয়ার ডেল্টা স্টেট ইউনিভার্সিটির গবেষকরা সম্প্রতি ইঁদুরের উপর পেঁয়াজের রসের প্রভাব নিয়ে একটি গবেষণা করেছেন। তাতেই এই তথ্য উঠে এসেছে বলে দাবি গবেষকদের। তাঁদের দাবি, ইঁদুরের উপর প্রতি কিলোগ্রাম দৈহিক ওজন পিছু ২০০ মিলিগ্রাম, ৪০০ মিলিগ্রাম ও ৬০০ মিলিগ্রাম হারে পেঁয়াজের রস প্রয়োগ করেন তাঁরা।

পেঁয়াজের রসের প্রভাবে কমে গিয়েছে কোলেস্টেরলের মাত্রাও। ছবি: সংগৃহীত

গবেষণার ফল বলছে, যে যে ইঁদুরের ডায়াবিটিস ছিল সেগুলির ক্ষেত্রে পেঁয়াজের রসের প্রভাব বেশ জোরালো। গবেষকদের দাবি, ৪০০ ও ৬০০ মিলিগ্রাম হারে পেঁয়াজের রস প্রয়োগ করার ফলে রক্তে শর্করার পরিমাণ ‘বেস লাইন’ থেকে যথাক্রমে ৫০ শতাংশ ও ৩৫ শতাংশ হারে কমে গিয়েছে। শুধু রক্তের শর্করার মানই নয়, পেঁয়াজের রসের প্রভাবে কমে গিয়েছে কোলেস্টেরলের মাত্রাও। তবে ইঁদুরের উপর কাজ করছে মানেই যে তা মানুষের ক্ষেত্রেও কার্যকর হবে, এমন কোনও নিশ্চয়তা নেই। কাজেই এখনই ডায়াবিটিস রোগীদের নির্বিচারে পেঁয়াজের রস খাওয়া উচিত, এমন বলছেন না গবেষকরা। বরং এই পথে আরও গবেষণা দরকার বলেই মত তাঁদের। পাশাপাশি, কী খাবেন আর কী খাবেন না, তা জানতে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াও খুবই জরুরি বলে জানান তাঁরা।

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন