—প্রতীকী ছবি।
৭ সেপ্টেম্বর বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণ। জ্যোতিষশাস্ত্রে এই গ্রহণের মাহাত্ম্য বিশেষ। এই দিন থেকে শুরু হচ্ছে পিতৃপক্ষও। চাঁদ এবং সূর্যের ঠিক মাঝখানে পৃথিবী চলে এলে, তখন তার ছায়া পড়ে চাঁদে। সে সময় হয় চন্দ্রগ্রহণ। ৭ সেপ্টেম্বর ভারতীয় সময়ে রাত ১১টা থেকে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ১২টা ২২ মিনিট পর্যন্ত প্রায় ৮২ মিনিট সময় ধরে চলবে পূর্ণগ্রাস চন্দ্রগ্রহণ। যদিও চাঁদের উপছায়া প্রবেশ ঘটবে ৭ সেপ্টেম্বর রাত ৮টা ৫৭ মিনিটে। গ্রহণের সম্পূর্ণ সমাপ্তি ঘটবে ৮ সেপ্টেম্বর রাত ৩টে ৩০ মিনিট। ভাদ্রপদ পূর্ণিমা তিথিতে হওয়া এই পূর্ণগ্রাস গ্রহণটি ভারতেও দৃশ্যমান।
শাস্ত্র বলছে, বছরের শেষ চন্দ্রগ্রহণের দিনটি যেমন ভাল কিছু কামনা করার জন্য শ্রেষ্ঠ, তেমনই বিশেষ কিছু ভুল করলে খারাপ প্রভাবের শিকার হতে হবে। জ্যোতিষশাস্ত্রে যে কোনও গ্রহণেরই মাহাত্ম্য বিশেষ। গ্রহণ চলাকালীন অশুভ শক্তিরা অধিক বলবান হয়ে ওঠে বলে মনে করা হয়। ভাদ্র পূর্ণিমায় হওয়া চন্দ্রগ্রহণে চাঁদের উপর শনি ও রাহুরও ছায়া পড়বে। সেই কারণে এই গ্রহণের শক্তি আরও দৃঢ় হবে। তাই বিশেষ কিছু নিয়ম মেনে চলার সঙ্গে এই দিন বাড়ির নির্দিষ্ট কিছু স্থানে প্রদীপ জ্বালানো ও বিশেষ কিছু খাবার না খাওয়া উচিত।
বাড়ির কোথায় কোথায় প্রদীপ জ্বালাতে হবে?
১. গ্রহণের দিন সন্ধ্যাবেলা প্রথমে সদর দরজার দু’ধারে অল্প আতপ চাল বিছিয়ে দিন। তার পর সেই স্থানে দু’টি প্রদীপ জ্বালুন। তিল তেলের প্রদীপ জ্বালতে পারলে খুব ভাল হয়, না হলে সর্ষের তেলের প্রদীপও জ্বালানো যেতে পারে। প্রজীপ দু’টির মুখ যেন পূর্ব দিকে থাকে সেটা খেয়াল রাখতে হবে।
২. বাড়ির উত্তর-পূর্ব দিকে ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালান। বাড়িতে যদি অশ্বত্থ গাছ থাকে, তা হলে সেটির নীচেও ঘিয়ের প্রদীপ জ্বালাতে পারেন।
গ্রহণের দিন কোন কোন খাবার খাওয়া যাবে না?
১. চন্দ্রগ্রহণের দিন লাল শাক, পুই শাক ও কলমি শাক খাওয়া যাবে না।
২. এই দিন রাতে আমিষ খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকলে খুব ভাল হয়।
৩. গ্রহণের দিন কোনও পোড়া খাবারও খাওয়া উচিত নয়।
এ ছাড়াও, গ্রহণ চলাকালীন বয়স্ক, বাচ্চা ও গর্ভবতী মহিলাদের বাড়ি থেকে না বেরোনোই ভাল বলে মনে করছে জ্যোতিষশাস্ত্র। খালি চোখে গ্রহণের চাঁদের দিকে তাকানো যাবে না। প্রাচীন বিশ্বাস মতে, গ্রহণ চলাকালীন রান্না করাও উচিত নয়। আগে থেকে রান্না করা খাবারে ও পানীয় জলে তুলসীপাতা দিয়ে রাখতে হবে। এ সময় কোনও ধারালো অস্ত্রও ব্যবহার করা যাবে না।