ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
শাস্ত্রমতে, বাড়ির প্রত্যেকটা দিকের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। তবে তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ স্থান হল বাড়ির ব্রহ্মস্থান। এই স্থানের বিশেষ গুরুত্ব রয়েছে। এই স্থানকে বাড়ির নাভিস্থান বলা হয়। বাড়ি করার সময় খেয়াল রাখতে হয় যেন কোনও ভাবে এই স্থানে ক্ষত না হয় বা আঘাত না লাগে। বাড়ির যেমন ব্রহ্মস্থান হয়, ঠিক তেমনই ঘরেরও ব্রহ্মস্থান হয়। যে কোনও বাড়ির মধ্য ভাগ ও ঘরের মধ্য ভাগকে উক্ত বাড়ির ব্রহ্মস্থান বলা হয়।
দেখে নেওয়া যাক এই স্থান কেমন রাখতে হয়:
১) ফ্ল্যাটবাড়ি বা ছোট বাড়িতে, যেখানে ব্রহ্মস্থান খালি রাখার কোনও জায়গা নেই, সেই জায়গাকে বসার ঘর বানানো যেতে পারে।
২) কলকারখানার ব্রহ্মস্থানে কোনও ভারী জিনিসপত্র রাখা যাবে না।
৩) কলকারখানার ব্রহ্মস্থানে মন্দির করা যেতে পারে। ঠাকুরের মুখ যেন পূর্ব দিকে থাকে সে বিষয়ে খেয়াল রাখতে হবে।
৪) ব্রহ্মস্থানকে উঠোন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।
৫) অফিসঘরের ব্রহ্মস্থানে বিগ্রহ রাখা যেতে পারে।
৬) বিশ্বাস করা হয়, ব্রহ্মস্থানের কোথাও ক্ষতি হলে, শরীরেরও সেই স্থানে ক্ষতি হয়।
৭) বাড়ির হোক বা দোকানের, যে কোনও ক্ষেত্রের ব্রহ্মস্থান সব সময় পরিষ্কার রাখা উচিত।
৮) এই স্থানে কোনও গর্ত, থাম, পয়ঃপ্রণালীর চেম্বার, পাতকুয়ো, আবর্জনা ফেলার স্থান প্রভৃতি করা যাবে না।
৯) বাস্তুতে, গৃহে, শোয়ার ঘরে, কলকারখানায় বা যে কোনও স্থানে ব্রহ্মস্থান সব সময় খালি রাখতে হবে।
১০) এই স্থানে কোনও শুভ অনুষ্ঠান করা যেতে পারে।
১১) ব্রহ্মস্থানে ছোট ফুলের গাছ রাখা যেতে পারে।
১২) অফিসের ব্রহ্মস্থানে মিটিং বা কনফারেন্সের ঘর করা যায়।
১৩) ব্রহ্মস্থানে কোনও জুতো, নোংরা বস্তু, এঁটো ফেলা বা রাখা উচিত নয়।
১৪) ব্রহ্মস্থানে কোনও চেয়ার, টেবিল, সোফা প্রভৃতি না রাখলেই ভাল হয়।