—প্রতীকী ছবি।
দান করা পুণ্যের বিষয়। বিশেষ করে কোনও মন্দিরে মন থেকে কিছু দান করতে পারলে সৌভাগ্য উপচে পড়ে বলে বিশ্বাস করা হয়। দান করতে গেলে যে সর্বদা প্রচুর অর্থের প্রয়োজন হয় তেমনটা নয়। সাধ্যমতো কোনও জিনিস শুদ্ধ মনে দান করলেই ভগবান খুশি হন। দু’হাত ভরে আশীর্বাদ করেন। শাস্ত্র বলছে, কয়েকটি জিনিস মন্দিরে দান করলে জীবনের নানা সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জেনে নিন সেগুলি কী কী।
কোন কোন জিনিস মন্দিরে দান করা শুভ?
ছোট্ট কলস: মন্দিরে কলস দান করা অত্যন্ত শুভ। কিন্তু বড় আকৃতির হলে হবে না, ছোট্ট আকৃতির কলসই দান করতে হবে। মাটি বা তামার কলস দান করতে হবে। এতে আর্থিক উন্নতি ঘটবে। ধনসম্পদ বৃদ্ধি পাবে।
কমলা রঙের পতাকা: অনেকেই মনে করেন যে, কমলা রঙের পতাকা কেবল হনুমান মন্দিরে দান করা যায়। এই ধারণা সম্পূর্ণ ভ্রান্ত। যে কোনও মন্দিরেই কমলা রঙের পতাকা দান করা যাবে। এতে নাম-যশ বৃদ্ধি পায়। বহু দিন ধরে চলতে থাকা কোনও মামলারও মীমাংসা ঘটবে।
প্রদীপ: মাটির প্রদীপ বা যে কোনও ধাতুর প্রদীপ মন্দিরে দান করে ভগবানের কাছে নিজের মনের ইচ্ছা জানান। সুফল পাবেন। ইচ্ছা পূরণ হবে। এরই সঙ্গে পিতৃদোষ থেকেও মুক্তি মিলবে।
দেশলাই: তুচ্ছ হলেও, দেশলাই দানের গুণ অনেক। মন্দিরে দেশলাই অর্পণ করলে ঋণের বোঝা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।
কর্পূর: মন্দিরে কর্পূর অর্পণ করলে দাম্পত্য সম্পর্কের উন্নতি ঘটে। এরই সঙ্গে অর্থের সমস্যাও দূর হয়।
ছাতা: পুজোর কাজে না লাগলেও মন্দিরে ছাতা দান করা যেতে পারে। এতে কাজের সকল প্রকার বাধা কেটে যায়। কর্মক্ষেত্রের জটিলতা থেকে মুক্তি মেলে। কার্যসিদ্ধি হয়।
সিঁদুর: যাঁদের বিয়ের কথা বহু দিন ধরে আটকে রয়েছে, তাঁরা মন্দিরে সিঁদুর দান করুন। বিয়ের পথে আসা সমস্ত বাধা কেটে যাবে।
চাল: মন্দিরে চাল অর্পণ করলে আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।