—প্রতীকী ছবি।
মহালয়ার দিন থেকেই দেবীপক্ষ শুরু হয়ে গেলেও দুর্গাপুজোর বোধন ষষ্ঠীতেই। এই বছর ২৮ সেপ্টেম্বর পড়েছে ষষ্ঠী। দুর্গাপুজোয় অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটে এবং শুভ শক্তির সঞ্চার হয়। কথিত আছে, এই দেবীপক্ষে ষষ্ঠীর দিন দেবী দুর্গার বোধন করে রাম। বোধন শব্দটির অর্থ হল জাগ্রত করা। এই দিন বিশেষ কিছু টোটকা পালনের মাধ্যমে ভাগ্যের উন্নতি ঘটানো যায়। এরই সঙ্গে সন্তানের মঙ্গলকামনার উদ্দেশেও দুর্গাষষ্ঠী পালন করা যেতে পারে। জেনে নিন কী কী উপায় পালন করতে হবে।
দুর্গাষষ্ঠীর টোটকা:
১. দুর্গাষষ্ঠীর দিন সন্তানের মঙ্গলকামনায় নিরামিষ আহার গ্রহণ করতে পারলে খুব ভাল হয়।
২. এই দিন বাড়িতে একটা কলাগাছ লাগান। গাছটিকে হলুদ কাপড় দিয়ে মুড়ে দিন এবং গাছটির নীচে একটা হলুদ সুতো বেঁধে দিন। ষষ্ঠী থেকে দশমী প্রতি দিন স্নানের পর গাছটির গোড়ায় জল দিন ও ধূপ জ্বেলে পুজো করুন। ব্যবসায় উন্নতি আসবে।
৩. একটা রুপোর মুদ্রা এবং একটি পদ্মফুল নিয়ে ষষ্ঠীর দিন মায়ের কাছে রেখে আসুন। পুজো শেষ হয়ে গেলে মুদ্রাটি বাড়িতে এনে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন। এতে অর্থভাগ্য উন্নত হবে। পদ্মফুলটা মায়ের চরণেই রেখে দিন।
৪. এই দিন একটা কলাপাতায় পাঁচ রকম ফল নিয়ে মায়ের চরণে নিবেদন করুন। তার পর পুজো শেষ হয়ে গেলে সেই ফলগুলি প্রসাদ হিসাবে বিতরণ করে দিন। কিন্তু ভুল করেও নিজে এই ফল গ্রহণ করবেন না।
৫. ষষ্ঠীর দিন সাধ্যমতো শিশুদের কিছু দান করতে পারলে খুব ভাল হয়। বিজোড় সংখ্যার, অর্থাৎ পাঁচ জন বা সাত জন শিশুকে কিছু দান করতে পারেন।
৬. একটি নারকেল নিয়ে সেটির উপর লাল সিঁদুর দিয়ে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। তার পর একটা লাল রঙের চেলি নিয়ে তার মধ্যে সেই নারকেল, আতপ চাল, সাদা তিল, সিদ্ধি ও হলুদ রেখে গিট বেঁধে দিন। এ বার বাড়িতে ঠাকুরের সামনে সেটিকে রেখে দিন। দশমীর দিন বিসর্জনের পর সেগুলিকে সেখান থেকে তুলে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন। এতে অর্থাভাব থেকে মুক্তি পাবেন।