—প্রতীকী ছবি।
ঠাকুরমা-দিদিমাদের মুখে ‘নজর লেগেছে’ কথাটি প্রায়ই শোনা যায়। কথাটি কানে না তুললেও কুনজর যথেষ্ট ভয়ঙ্কর এক বিষয়। নজরদোষের প্রভাবে সাজানো জীবন ছারখার হয়ে যেতে বেশি সময় লাগে না। বাড়ির সবচেয়ে ছোট সদস্য থেকে শুরু করে বয়োজ্যষ্ঠ যিনি আছেন, নজরদোষ যে কারও লাগতে পারে। এর প্রভাবে হয়ে আসা কাজ তো ভেস্তে যায়ই, তার সঙ্গে শারীরিক দিক থেকেও নানা সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিশেষ করে কোনও বাচ্চার উপর যদি কুনজর পড়ে, তা হলে তার স্বাস্থ্যের দারুণ ক্ষতি হয়ে যায় বলে বিশ্বাস করা হয়। মানসিক দিক থেকেও প্রচুর ক্ষতি হয়। তবে সহজ কিছু টোটকা পালনে নজরদোষ থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। উপায়গুলি জেনে নিন।
নজরদোষ কাটানোর উপায়:
১. সংসার তথা নিজেকে নজরদোষ থেকে বাঁচাতে একটা নারকোলের মালা কালো কাপড়ে বেঁধে সদর দরজার উপরে ঝুলিয়ে রেখে দিন। উপকৃত হবেন।
২. তুলো দিয়ে লম্বাকৃতির একটি সলতে তৈরি করুন। তার পর সেটিকে সর্ষের তেলে ডোবান। সলতেটিতে তেল লেগে গেলে সেটি তুলে যাঁর নজর লেগেছে, তাঁর মাথার চারপাশে ঘড়ির কাঁটার দিকে সাত বার ঘোরান। তার পর চিমটে করে সলতেটি ধরে তাতে আগুন জ্বালান। সলতেটি সম্পূর্ণ জ্বলে গেলে ছাইটি কোনও প্রবাহিত জলে ভাসিয়ে দিন। বাচ্চাদের নজরদোষ কাটানোর ক্ষেত্রে এই টোটকাটি খুব ভাল কাজ করে।
৩. যে কোনও সপ্তাহের একটি শনিবার যে ব্যক্তির নজর লেগেছে, তাঁর মাথার চারপাশে কাঁচা দুধ সাত বার ঘোরান। তার পর সেই দুধটি কোনও প্রবাহিত জলে ফেলে দিন। এতেও উপকার পাবেন।
৪. বাড়ির উপর নজরদোষ থাকলে একটা পাত্রে কিছুটা ফটকিরি, কিছুটা নুন এবং কালো সর্ষে একসঙ্গে নিন। সেটিকে বাড়ির চারপাশে সাত বার ঘুরিয়ে নিয়ে জিনিসগুলো একসঙ্গে বাড়ির বাইরে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন। নজরদোষ যত খারাপই হোক না কেন, তা নষ্ট হয়ে যাবে।
৫. কুনজর কাটানোর অতি প্রচলিত টোটকা হল শুকনো লঙ্কার টোটকা। বাচ্চা থেকে বড়, সকলের জন্যই এই টোটকা কার্যকরী। পাঁচটি শুকনো লঙ্কা নিয়ে সেগুলি মাথার চারপাশে ঘড়ির কাঁটার দিকে পাঁচ বার ঘোরান। তার পর সেগুলি বাড়ির বাইরে, কোনও খোলা স্থানে নিয়ে গিয়ে পুড়িয়ে ফেলুন। নজরদোষ বিদায় নেবে।