—প্রতীকী ছবি।
একটা বাড়ি তৈরির সময় যেমন সঠিক স্থানে দরজা এবং জানলা বানাতে হয়, তেমনই সে সব হয়ে যাওয়ার পর সাজানোর ক্ষেত্রেও নানা জিনিস মাথায় রাখতে হয়। ঘর সাজানোর উপর নির্ভর করছে সেটি দেখতে কতটা সুন্দর হবে। আমাদের ঘরে আলো-বাতাস যাতে ঠিকঠাক ভাবে চলাচল করে সেটার জন্য ঘরের কোন দিকে জানলা-দরজা রাখা হচ্ছে খেয়াল রাখা গুরুত্বপূর্ণ। তবে দরজা-জানলার পর্দার ক্ষেত্রে বাস্তুনিয়ম মেনে পর্দা লাগানো উচিত। বিশেষ করে পর্দার রং আমাদের জীবনের নানা সমস্যার সমাধান করতে সাহায্য করে। তাই যে কোনও রঙের পর্দা লাগালেই হবে না।
দেখে নিন কোন রঙের পর্দা জীবনে কী প্রভাব ফেলে:
হলুদ পর্দা: হলুদ রঙের পর্দা আমাদের সুখ, আনন্দ, বিশুদ্ধতা, ধন, একাগ্রতা এবং জ্ঞানের প্রতিনিধিত্ব করে। তাই ঘরে হলুদ রঙের পর্দা ব্যবহার করা খুবই শুভ বলে মানা হয়।
সবুজ পর্দা: সবুজ রং হল উর্বরতা, বৃদ্ধি, প্রকৃতি, শিথিলতা এবং পুনরায় কিছু সৃষ্টি হওয়ার প্রতীক। এ ছাড়া, সবুজ রং নিরাময়কে বোঝায়। তাই ঘরে সবুজ রঙের পর্দা অবশ্যই ব্যবহার করুন।
নীল পর্দা: ক্লান্তি দূর করার জন্য নীল রঙের পর্দা বিশেষ উপযোগী। তাই যেখানে বিশ্রাম নেওয়া হবে সেখানে নীল রঙের পর্দা ব্যবহার করুন।
কমলা পর্দা: কমলা রং মানেই সুস্বাস্থ্য, প্রাণবন্ততা, কর্মযোগ। এই রং শক্তি এবং লক্ষ্যেরও প্রতীক। তাই এই রঙের পর্দা বসার ঘরে ব্যবহার করতে পারেন।
সাদা পর্দা: বিশুদ্ধতা, সরলতা, পরিচ্ছন্নতা, নমনীয়তার সঙ্গে যুক্ত হল সাদা রং। তবে সাদা রঙের পর্দার সঙ্গে নিজের পছন্দের একটা যে কোনও রঙের পর্দা মিশিয়ে লাগান।
বেগুনি পর্দা: বেগুনি রং আকাঙ্ক্ষা, আভিজাত্য, সম্পদ এবং রাজকীয়তার সঙ্গে যুক্ত, তাই ঘরে এই রঙের পর্দা ব্যবহার করা যেতে পারে।
লাল পর্দা: আবেগ, শক্তি এবং সাহসিকতার সঙ্গে যুক্ত লাল রং। তবে এটি বসার ঘরে লাগানোই শ্রেয়। শোয়ার ঘরে লাল রঙের পর্দা লাগানো যাবে না।
গোলাপি পর্দা: গোলাপি রং হল আনন্দ, অন্তরঙ্গতা
এবং সৃজনশীলতার প্রতীক। তাই এই রঙের পর্দা শোয়ার ঘরে লাগানো যেতে পারে।