—প্রতীকী ছবি।
রাজতন্ত্র বিলুপ্ত হলেও রাজসুখ প্রবাদ বিলুপ্ত হয়নি। রাজসুখ প্রবাদের ব্যবহার হয় তখনই, যখন বিভিন্ন পার্থিব বিষয়ে প্রচুর সুখপ্রাপ্তির কথা বোঝানো হয়। অর্থাৎ, বিলাসবহুল জিনিস প্রাপ্তির সম্ভাবনা থাকে। কে বা কারা রাজসুখ পাবেন, সেই বিষয়ে জানতে বা নিশ্চিত হতে অবশ্যই জ্যোতিষশাস্ত্রের জ্ঞান এবং সূক্ষ বিশ্লেষণ করার ক্ষমতা প্রয়োজন। সাধারণ মানুষের পক্ষে বিষয়টা বেশ জটিল। তবে জ্যোতিষশাস্ত্রেরই অঙ্গ সংখ্যাতত্ত্বের দ্বারা এই বিচার করা তুলনামূলক ভাবে সরল। ফলে সংখ্যাতত্ত্বের সামান্য ধারণা থাকলে সাধারণ মানুষের পক্ষেও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে খুব সহজেই অনুমান করা সম্ভব।
সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে, কোন ব্যক্তি রাজসুখ ভোগ করবেন বা রাজতুল্য সুখে সুখী হবেন?
রাজসুখ শুনলে প্রথমেই মনে আসে বিলাসিতা, অর্থাৎ গাড়ি, বাড়ি, অর্থ ইত্যাদি। রাজসুখ বলতে ঠিক এটাই বোঝানো হয়। জ্যোতিষ এবং সংখ্যাতত্ত্ব অনুসারে জন্মতারিখ হল ভগবানের আশীর্বাদ। জন্মতারিখ বলতে বোঝায় আপনার জন্মের তারিখের সংখ্যার সমাহার। আপনি যে বছরের, যে মাসের, যে দিনে জন্মেছেন সেটাই আপনার জন্মতারিখ। সংখ্যাতত্ত্বের সাহায্যে জন্মতারিখ এবং নামসংখ্যায় পরিবর্তন করে, সেই নির্দিষ্ট সংখ্যা বিশ্লেষণ করে নির্দিষ্ট মানুষের সম্বন্ধে বিভিন্ন গোপন তথ্য জানা বা বলা যায়।
নির্দিষ্ট মানুষের জন্মতারিখে, অর্থাৎ জন্মদিন, জন্মমাস এবং জন্মবছরের সংখ্যায় ৪ সংখ্যা, ৫ সংখ্যা এবং ৬ সংখ্যা উপস্থিত থাকলে সংখ্যাতত্ত্বমতে উক্ত মানুষ রাজযোগ বা রাজসুখের অধিকারী হয়। এ ক্ষেত্রে জন্মতারিখ, অর্থাৎ দিন, মাস এবং বছরের যোগফলকে এক অঙ্কে পরিবর্তন করে এবং পদবি-সহ নাম এক অঙ্কে পরিবর্তন করে ওই সংখ্যাও ব্যবহার করা যেতে পারে।