Ward off the evil eye

কুনজরের চোটে জীবন জেরবার? জন্মসংখ্যা অনুযায়ী সহজ উপায় পালন করে দেখুন, দুঃখের দিন শেষ হবে

সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, নজরদোষ কাটানোর নানা রকম উপায় আছে। জন্মসংখ্যা অনুযায়ী সেই সকল উপায় মেনে চললে সহজেই নজরদোষের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

Advertisement

বাক্‌সিদ্ধা গার্গী

শেষ আপডেট: ১৬ জুলাই ২০২৫ ১১:১৭
Share:

—প্রতীকী ছবি।

নজরদোষ খুব খারাপ জিনিস। এর প্রভাবে জীবনের সমস্ত আনন্দ মাটিতে মিশে যেতে বেশি সময় লাগে না। কোনও মানুষ যদি এক বার কুনজরের কবলে পড়েন, তা হলে জীবনে চলার পথে যে কোনও ক্ষেত্রেই তাঁকে নানা বাধার সম্মুখীন হতে হয়। হওয়া কাজ ভেস্তে যায়। জীবনের সকল সুখ নষ্ট হয়ে যায়। সংখ্যাতত্ত্ব অনুযায়ী, নজরদোষ কাটানোর নানা রকম উপায় আছে। জন্মসংখ্যা অনুযায়ী সেই সকল উপায় মেনে চললে সহজেই নজরদোষের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। জেনে নিন সেই উপায়গুলি কী কী।

Advertisement

নজরদোষ কাটাতে জন্মসংখ্যা অনুযায়ী কী কী উপায় মানতে হবে?

১। বাজার থেকে লেবু-লঙ্কার মালা কিনে এনে সেটির পুজো দিন। তাতে সিঁদুরের ফোঁটা দিতে হবে। তার পর সদর দরজায় সেটিকে ঝুলিয়ে দিন।

Advertisement

২। একটি পাত্রে কর্পূর পুড়িয়ে সেটিকে নিজের চারিপাশে ১১ বার ঘোরান। কর্পূরটিকে জ্বলন্ত অবস্থায় আপনার চারপাশে ঘোরাতে হবে, নচেৎ লাভের লাভ হবে না। তার পর কর্পূরের ছাইটি প্রবাহিত জলে ফেলে দিন।

৩। প্রতি দিন সন্ধ্যাবেলা বা কাজ থেকে বাড়ি ফিরে স্নানের পর শুদ্ধ বস্ত্র পরে চন্দনের গন্ধযুক্ত ধূপকাঠি জ্বালান। ‘ওম নমঃ শিবায়’ মন্ত্রটি জপ করতে করতে বাড়ির প্রতিটি কোনায় ধূপকাঠিটি দেখান।

৪। বাড়ির প্রতিটি কোনায় সৈন্ধব লবণ ছড়ান। নেগেটিভ শক্তির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

৫। সাতটা লঙ্কা ও একটা লেবু নিয়ে নিজের চারদিকে ঘড়ির দিক বরাবর ঘোরান। তার পর সেগুলিকে একটি পাত্রে নিয়ে জ্বালিয়ে দিন। উপকার পাবেন।

৬। সদর দরজায় বা বাড়ির দেওয়ালে হলুদ দিয়ে স্বস্তিক আঁকুন। নিয়মিত ধ্যান করুন। ধ্যান করার সময় হলুদ রঙের মোমবাতি জ্বালালে আরও ভাল ফল পাবেন।

৭। গঙ্গাজলের সঙ্গে তুলসীপাতা মিশিয়ে বাড়ির প্রতিটি কোনায় ছিটিয়ে দিন। নেগেটিভ শক্তির হাত থেকে মুক্তি পাবেন।

৮। এক মুঠো সর্ষে নিয়ে নিজের চারপাশে ঘোরান। তার পর সেটিকে পুড়িয়ে নিয়ে ফেলে দিন। নেগেটিভ শক্তির বাড়বাড়ন্ত থেকে রেহাই পাবেন।

৯। লঙ্কার গুঁড়ো ও নুন নিয়ে নিজের মাথার পাশে সাত বার ঘোরান। তার পর বাড়ির বাইরে সেটিকে ফেলে দিন।

এই সকল উপায়গুলি সপ্তাহের অন্যান্য দিনের তুলনায় মঙ্গলবার বা শনিবার করলে বেশি ভাল ফল পাবেন। মনে বিশ্বাস নিয়ে উপায়গুলি পালন করতে হবে। এগুলি করার সময় কোনও প্রকার নেগেটিভ চিন্তাভাবনা করা যাবে না।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement