—প্রতীকী ছবি।
পান ও সুপারি। বহু মানুষের কাছে ভূরিভোজের শেষে এর থেকে ভাল মুখশুদ্ধি যেন আর কিছু হয় না। বিশেষ করে বাঙালি হিন্দুদের কাছে শেষ পাতে পাতলা করে কাটা সুপারি দিয়ে সাজা পানের মাহাত্ম্যই আলাদা। তবে অনেকেই জানেন না যে সুপারি আমাদের ভাগ্য বদলাতেও কাজে আসে। হিন্দুদের পুজোর কাজেও সুপারি ব্যবহার করা হয়। সুপারি দ্বারা কিছু উপায় পালন করলে নানা দিক থেকে সুফল পাওয়া সম্ভব। উপায়গুলি জেনে নিন।
উপায়:
১. আর্থিক সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সুপারি সহযোগে গণেশজির পুজো করুন। তার পর সেই সুপারি লাল-হলুদ রঙের কাপড়ে বেঁধে টাকা রাখার জায়গায় রেখে দিন। খুব ভাল ফল পাবেন। অর্থকষ্ট জীবন থেকে বিদায় নেবে।
২. কর্মক্ষেত্রে বা ব্যবসায় অগ্রগতি লাভ করতে শনিবার সন্ধ্যাবেলা সূর্যাস্তের পর অশ্বত্থগাছের তলায় একটা প্রদীপ জ্বালান। তার পর সেই প্রদীপের শিখা যেখানে পড়ছে, সেখানে একটা এক টাকার কয়েন ও সুপারি রাখুন। জিনিসগুলি সারা রাত সেখানেই রেখে দিন। পরদিন সকালে সেই গাছের পড়ে থাকা একটা পাতা তুলে তাতে সুপারি ও এক টাকার কয়েনটি নিয়ে বেঁধে পুঁটুলি বানিয়ে নিজের কাছে রেখে দিন। কর্মক্ষেত্রে উন্নতি হবে।
৩. গুরুত্বপূর্ণ কাজে সফলতা পেতে একটি লাল কাপড়ের টুকরোতে একটা সুপারি ও দুটো লবঙ্গ নিয়ে বেঁধে গণেশজির কাছে রেখে দিন। কাজে বেরোনোর আগে সেটি নিয়ে বেরোন। সফলতা প্রাপ্তির সম্ভাবনা বৃদ্ধি পাবে।
৪. যে কোনও পরিকল্পনা পূরণের ক্ষেত্রে বার বার বাধার সম্মুখীন হলে মঙ্গলবার করে একটা পানপাতা নিয়ে তাতে সিঁদুর ও ঘিয়ের মিশ্রণ তৈরি করে তার মধ্যে স্বস্তিক চিহ্ন আঁকুন। তার পর সেটির মধ্যে একটি সুপারি রাখুন। এর পর সমস্ত জিনিসগুলি গণেশের পায়ের সামনে রেখে দিন। বুধবার গণেশের পুজোর পর জিনিসগুলি তুলে লাল কাপড়ে মুড়ে নিজের কাছে রেখে দিন। দেখবেন সফলতার পথে আসা সমস্ত বাধা আস্তে আস্তে কেটে যাবে।
৫. বিয়ে সংক্রান্ত সমস্ত বাধা কাটাতে রুপোলি বর্ণের বাক্সে একটা সুপুরিতে সিঁদুর মাখিয়ে রেখে দিন। পূর্ণিমার রাতে সেটিকে বার করে চাঁদের আলোর নীচে রেখে দিন। দেখবেন বিয়ে সংক্রান্ত সমস্ত বাধা কেটে যাবে।