—প্রতীকী ছবি।
শনির নাম শুনলে বেশির ভাগ মানুষই আঁতকে ওঠেন। যে ব্যক্তি কোনও কিছুকেই ভয় পান না, তিনিও শনিকে সমঝে চলাই পছন্দ করেন। কর্মফলদাতা গ্রহ শনি যদি জন্মছকে ভুল ঘরে থাকে তা হলে যে কোনও কাজই খুব ভেবেচিন্তে করতে হয়। কারণ, একটু উনিশ থেকে বিশ হলেই আমাদের শনির ভয়ঙ্কর প্রভাবের শিকার হতে হবে।
শনি যখন ঘর বদলায় সেই সময়টা আরও ভয়ঙ্কর হয়ে ওঠে। শনির গতি পরিবর্তনও ভয়ের বিষয়। গত ১৩ জুলাই শনি গতি পরিবর্তন করে বক্রগতি প্রাপ্ত হয়েছে। এর ফলে শনির ফলদানের ক্ষমতা আরও বৃদ্ধি পেয়েছে। খারাপ বা ভাল, যে কোনও ফলই শনি এখন অন্যান্য সময়ের তুলনায় বেশি প্রখরতার সঙ্গে দান করবে। শনি বক্রীর ফলে চার রাশির জাতক-জাতিকাকে ভুগতে হতে পারে। জেনে নিন সেই দলে কারা রয়েছে।
কোন কোন রাশির উপর শনি বক্রীর কুপ্রভাব পড়েছে?
বৃষ: শনি বৃষ রাশির আয়ক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রের অধিপতি। শনি বক্রীর প্রভাবে এই রাশির ব্যক্তিদের আয়ক্ষেত্র ও কর্মক্ষেত্রের উপর নেগেটিভ প্রভাব পড়লেও পড়তে পারে। নির্দিষ্ট ব্যক্তির জন্মছকে শনি কী অবস্থায় রয়েছে তার উপর নির্ভর করছে কতটা খারাপ প্রভাবের সম্মুখীন তাঁকে হতে হবে। আয়ের উপর প্রভাব পড়ার আশঙ্কা দেখা যাচ্ছে। ব্যয়ের ক্ষেত্রে নজর রাখা আবশ্যক। কর্মক্ষেত্রে নানা জটিলতার মুখে পড়তে হতে পারে, সচেতন থাকা জরুরি। পরিশ্রমের উপযুক্ত ফল পাবেন না। মাথা ঠান্ডা রেখে চলা বাঞ্ছনীয়।
মিথুন: মিথুন রাশির জাতক-জাতিকারাও শনি বক্রীর ফলে ভুগতে পারেন বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। কঠোর পরিশ্রমের পরেও সাফল্য আসবে না। কর্মক্ষেত্রে পদোন্নতির সুযোগ হাতছাড়া হতে পারে। কিন্তু এ বিষয় নিয়ে বেশি ভাবনাচিন্তা করলে আখেরে ক্ষতি আপনারই হবে। তাই ধৈর্য হারালে চলবে না। পারিবারিক দিকে চাপ বাড়তে পারে। বাবা-মায়ের স্বাস্থ্যের অবনতি ঘটতে পারে, তাঁদের খেয়াল রাখুন। মেজাজ ঠান্ডা রাখুন, নচেৎ মুশকিল আরও বাড়বে।
কর্কট: শনি বক্রগতি প্রাপ্ত হওয়ার ফলে কর্কট রাশির ব্যক্তিদের বাবার সঙ্গে সম্পর্ক খারাপ হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। পরিবারে নিত্য ঝামেলা লেগে থাকবে। রাগের উপর নিয়ন্ত্রণ রাখা আবশ্যক। বাবার স্বাস্থ্য নিয়ে চিন্তায় থাকতে পারেন, তাঁর শরীরের খেয়াল রাখতে হবে। কোনও জায়গায় বিনিয়োগ করা থেকেও বিরত থাকতে হবে। ভাল ফল পাবেন না।
বৃশ্চিক: বৃশ্চিক রাশির জাতক-জাতিকারা যে কোনও ক্ষেত্রে বিরোধ এড়িয়ে চলার চেষ্টা করুন। তা না হলে সমস্যা আরও বাড়তে পারে। কর্মক্ষেত্রে উচ্চপদস্থ ব্যক্তি ও সহকর্মীদের সঙ্গে সম্পর্কের অবনতি ঘটতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এ বিষয়ে সচেতন থাকা জরুরি। পারিবারিক ক্ষেত্রেও মনোমালিন্য হতে পারে, তবে সেটিকে বেশি দূর গড়াতে না দেওয়াই ভাল হবে। রাগ নিয়ন্ত্রণে থাকলে এ সকল সমস্যা থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাবেন।