ওড়িশার বন দফতরের আধিকারিক নিত্যানন্দ নায়েকের নামে প্রচুর সম্পত্তির হদিস মিলল। ছবি: সংগৃহীত।
১১৫টি জমি রয়েছে। মিলেছে ২০০ গ্রাম সোনাও। ওড়িশার বন দফতরের এক আধিকারিকের নামে এ বার বিপুল সম্পত্তির খোঁজ পেলেন তদন্তকারীরা। সব মিলিয়ে কোটি কোটি টাকার সম্পত্তির হদিস মিলেছে। এর মধ্যে অন্তত ৫৩টি জমি রয়েছে আধিকারিকের নিজের নামেই। ৪২টি রয়েছে তাঁর স্ত্রীর নামে। বাকিগুলি ওই আধিকারিকের দুই পুত্র এবং এক কন্যার নামে পাওয়া গিয়েছে।
গত রবিবার ওড়িশার কেওনঝড়ে কেন্দু পাতা বিভাগের বিভাগীয় বন আধিকারিক নিত্যানন্দ নায়েকের বাড়িতে হানা দেয় সে রাজ্যের দুর্নীতিদমন শাখা। কেওনঝড়, নয়াগড় এবং আঙ্গুল জেলা মিলিয়ে মোট সাতটি জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন বাড়িতে হানা দেন আধিকারিকেরা। সবগুলি বাড়িই রয়েছে নিত্যানন্দের নামে। বিভাগীয় বন আধিকারিকের পৈতৃক বাড়ি এবং আত্মীয়দের বাড়িতেও অভিযান চলে। দুর্নীতিদমন শাখার ওই অভিযানের তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে মঙ্গলবার।
বন দফতরের ওই আধিকারিকের নামে ১১৫টি জমি ছাড়াও পাওয়া গিয়েছে একটি চার তলা বাড়ি। একটি ছোট অস্ত্রাগারও পাওয়া গিয়েছে, যেটির সঙ্গে নিত্যানন্দের যোগ রয়েছে। সেখানে রাইফেল এবং অন্য অস্ত্রশস্ত্র পাওয়া গিয়েছে। এ ছাড়া দু’টি চার চাকার গাড়ি, চারটি বাইক, ২০০ গ্রাম সোনা, সেগুন কাঠের বিভিন্ন শিল্পসামগ্রীর সংগ্রহ, নগদ প্রায় দেড় লক্ষ টাকার সন্ধান মিলেছে।
ওই বন আধিকারিকের হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি রয়েছে বলে আগে থেকেই সন্দেহ করছিলেন দুর্নীতিদমন শাখার গোয়েন্দারা। সেই মতো আদালতের অনুমতি নিয়ে গত রবিবার নিত্যানন্দের বাড়িতে হানা দেন তদন্তকারীরা। ডিএসপি পদমর্যাদার তিন আধিকারিক, ১০ জন ইনস্পেক্টর এবং অন্য আধিকারিকদের নিয়ে গঠিত সাতটি দল পৃথক পৃথক জায়গায় হানা দেয় গত রবিবার।
তদন্তকারীদের সন্দেহ, বনাঞ্চলে বিভিন্ন অভিযানের সময়ে বেআইনি ভাবে ওই সেগুন কাঠগুলি জোগাড় করেছেন নিত্যানন্দ। সংবাদমাধ্যম ‘এনডিটিভি’র এক প্রতিবেদনে দাবি করা হচ্ছে, ওড়িশায় কোন সরকারি আধিকারিকের নামে কত জমি রয়েছে, সেই তালিকায় প্রথম স্থানেই রয়েছেন নিত্যানন্দ। এর আগে কেওনঝড়ের এক সরকারি ইঞ্জিনিয়ার প্রভাসকুমার প্রধানের নামে ১০৫টি জমি পাওয়া গিয়েছিল। হিসাব বহির্ভূত সম্পত্তি থাকার অভিযোগে গত বছরের অগস্টে প্রভাসকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। এ বার ওড়িশায় আরও এক সরকারি আধিকারিকের বিরুদ্ধে আয় বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির অভিযোগ উঠল।