National News

সফরসূচি ভেঙে হঠাৎ করুণানিধির বাড়িতে মোদী, চেন্নাইতে জোর জল্পনা

সফরসূচিতে না থাকা সত্ত্বেও আচমকা করুণানিধির বাড়িত হাজির হলেন মোদী। নবতিপর রাজনীতিকের সঙ্গে দেখা করে এলেন। তামিল রাজনীতিতে কি তা হলে নতুন সমীকরণ? জল্পনা চেন্নাইতে।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

চেন্নাই শেষ আপডেট: ০৬ নভেম্বর ২০১৭ ১৯:৫২
Share:

চেন্নাইয়ের গোপালপুরমে করুণানিধি সকাশে প্রধানমন্ত্রী। ছবি: পিটিআই।

ঠাসা কর্মসূচি নিয়ে চেন্নাই গিয়েছিলেন তিনি। গোপালপুরমের দিকে যাওয়ার কথাই ছিল না প্রধানমন্ত্রীর। কিন্তু, স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতেই চমকে দিলেন। আচমকা সফরসূচি বদলে জানালেন, দেখা করবেন ডিএমকে সুপ্রিমো করুণানিধির সঙ্গে। ভারতীয় রাজনীতির প্রবীণতম সক্রিয় ব্যক্তিত্বের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর হঠাৎ সাক্ষাৎকার স্বাভাবিক ভাবেই সোমবার জোর জল্পনার জন্ম দিল চেন্নাইয়ে। কালাইগনারের পুত্র-কন্যা স্ট্যালিন এবং কানিমোঝি নিজেদের বাড়িতে উষ্ণ অভ্যর্থনাও জানালেন প্রধানমন্ত্রীকে। তবে দক্ষিণ ভারতের রাজনীতিতে নতুন সমীকরণের জল্পনা উড়িয়ে দু’পক্ষই জানাল, মোদী-করুণানিধির এই সাক্ষাৎকার নেহাতই সৌজন্যের।

Advertisement

তামিলনাড়ুর একটি সংবাদপত্রের ৭৫ বছর উদ্‌যাপন অনুষ্ঠানে এ দিন এসেছিলেন নরেন্দ্র মোদী। ছিল আরও কিছু কর্মসূচি। তামিলনাড়ুর রাজ্যপাল বনওয়ারিলাল পুরোহিত এবং মুখ্যমন্ত্রী ই কে পলানীস্বামী বিমানবন্দরে স্বাগত জানান মোদীকে। পিএমও-র এক অবসরপ্রাপ্ত আধিকারিকের মেয়ের বিয়ের অনুষ্ঠানে যান প্রধানমন্ত্রী। বিমানবন্দর থেকেই মোদীর কপ্টারে তাঁর সঙ্গী হন পলানীস্বামী। ঠাসা কর্মসূচির ফাঁকে আলাদা করে বৈঠকে বসার সময় ছিল না প্রধানমন্ত্রীর। তাই মুখ্যমন্ত্রী কপ্টারেই বৈঠক সারেন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে। চেন্নাই সূত্রের খবর, সব কর্মসূচি মিটিয়ে ফেরার আগে মোদী শেষ মুহূর্তে সিদ্ধান্ত নেন, করুণানিধির বাড়ি যাবেন তিনি। দ্রুত খবর পৌঁছয় ডিএমকে সুপ্রিমোর গোপালপুরমের বাড়িতে। বেশ কিছু দিনের অসুস্থতা কাটিয়ে করুণানিধি ফের জনসমক্ষে এসেছে সম্প্রতি। নবতিপর রাজনীতিকের সঙ্গে এই সময়ে দেখা করার সুযোগ হাতছাড়া করতে চাননি মোদী। প্রধানমন্ত্রী আসছেন জেনেই সব কর্মসূচি বাতিল করে দ্রুত গোপালপুরমের বাড়িতে ফেরেন স্ট্যালিন ও কানিমোঝি। প্রধানমন্ত্রীকে তাঁরা স্বাগত জানান। করুণানিধির বাড়িতে এ দিন মিনিট কুড়ি ছিলেন মোদী। করুণানিধির দুই স্ত্রী-র সঙ্গেও মোদীর কথা হয়।

আরও পড়ুন: দিলীপ ঘোষই ক্যাপ্টেন, উপচে পড়া ভিড়ে ভেসে বললেন মুকুল রায়

Advertisement

তামিলনাড়ুর পাঁচ বারের মুখ্যমন্ত্রী করুণানিধির দল ডিএমকে এখন সে রাজ্যে বিরোধী দলের ভূমিকা পালন করছে। কিন্তু জয়ললিতার প্রয়াণ, পর পর দু’টি মেয়াদে ক্ষমতায় থাকা এবং শশিকলা-দিনকরণদের সঙ্গে পলানীস্বামী-পনীরসেলভমদের প্রবল টানাপড়েনের জেরে শাসক দল এআইএডিএমকে-র অবস্থা এখন টালমাটাল। পরবর্তী বিধানসভা নির্বাচনে ডিএমকে-র সম্ভাবনা উজ্জ্বল। সে কথা মাথায় রেখেই কি ডিএমকে-র হাত ধরার পথও খোলা রাখতে চাইছেন মোদী? প্রশ্ন উঠেছে বিভিন্ন শিবির থেকে।

আরও পড়ুন: গুজরাত জয়ে তিন তরুণ তুর্কিই তাস রাহুলের

এআইএডিএমকে-কেই তামিলনাড়ুতে নিজেদের ‘স্বাভাবিক মিত্র’ মনে করে বিজেপি। আর করুণানিধির ডিএমকে দীর্ঘ দিন ধরে জাতীয় রাজনীতিতে কংগ্রেসের সঙ্গী। বর্তমানে সংসদে যে ১৮টি দল মূলত সরকারের বিরোধিতায় সরব। ডিএমকে তাদের অন্যতম। করুণানিধির বাড়িতে মোদীর পদার্পণের পর জল্পনা শুরু হয়েছে, এই সমীকরণ বদলে যেতে পারে। ডিএমকে-র তরফে অবশ্য জল্পনা নস্যাৎ করা হয়েছে। মোদী-করুণা সাক্ষাৎকারের সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই বলে ডিএমকে-র তরফে জানানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ঘনিষ্ঠ বৃত্তও বলছে, করুণার বাড়িতে মোদী গিয়েছিলেন সৌজন্যের খাতিরেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন