(বাঁ দিক থেকে) নরেন্দ্র মোদী, ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং শাহবাজ় শরিফ। — ফাইল চিত্র।
অবৈধ ভাবে এবং গোপনে নিজেদের দেশে পারমাণবিক কার্যকলাপ পাকিস্তানের ইতিহাসের সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ! মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দাবিকে ‘সমর্থন’ করে এ বার মুখ খুলল ভারত।
সম্প্রতি পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা নিয়ে বিস্ফোরক দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি জানান, গোপনে পাকিস্তান এ ধরনের পরীক্ষা চালাচ্ছে। শুধু পাকিস্তান নয়, একই সঙ্গে রাশিয়া এবং চিনের কথাও উল্লেখ করেছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তাঁর এই মন্তব্য সম্পর্কে শুক্রবার ভারতের বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়ালকে প্রশ্ন করা হয়। তিনি জানান, ভারত ট্রাম্পের মতামত সম্পর্কে অবগত। রণধীর আরও বলেন, ‘‘দশকের পর দশক ধরে চোরাচালান, রফতানি নিয়ন্ত্রণ লঙ্ঘনের মতো কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে পাকিস্তান। গোপনে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষাও করছে। ভারত সর্বদাই পাকিস্তানের এ হেন কার্যকলাপ সম্পর্কে আন্তর্জাতিক মঞ্চের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।’’
সম্প্রতি আমেরিকায় নতুন করে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন ট্রাম্প। কেন তিনি এমন নির্দেশ দিয়েছেন, তা ব্যাখ্যা করতে গিয়ে এক সাক্ষাৎকারে মার্কিন প্রেসিডেন্ট দাবি করেন, “আমরা পরীক্ষা করছি, কারণ বাকিরাও পরীক্ষা করছে। হঠাৎই উত্তর কোরিয়া পরীক্ষা করছে। পাকিস্তান পরীক্ষা করছে। তারা গোপনে এই পরীক্ষা করছে, যাতে মানুষ জানতেও না পারে কী হচ্ছে।” তার পরেই ট্রাম্প দাবি করেন, রাশিয়া এবং চিনও একই ভাবে তাদের পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষানিরীক্ষা করছে।
ট্রাম্প সাক্ষাৎকারে যে চার দেশের নাম করেছেন, সেগুলির মধ্যে পাকিস্তান বাদে বাকি তিন দেশ বাণিজ্যিক বা সামরিক ক্ষেত্রে আমেরিকার প্রতিদ্বন্দ্বী। স্বাভাবিক ভাবে পরমাণু অস্ত্রের পরীক্ষা সংক্রান্ত ট্রাম্পের দাবি নিয়ে শোরগোল শুরু হয়েছে। অনেকেই দাবি করেন, আফগানিস্তান-পাকিস্তানে ধারাবাহিক ভূমিকম্পের কারণ ইসলামাবাদের গোপনে পরমাণু অস্ত্র পরীক্ষা! যদিও পাকিস্তান বার বার তাদের পারমাণবিক কার্যকলাপ অস্বীকার করেছে। সে দেশের ঊর্ধ্বতন নিরাপত্তা কর্তা জানান, পাকিস্তান কখনই পারমাণবিক পরীক্ষা শুরু করবে না!