ডায়েটিশিয়ানরা বলেন ব্রেকফাস্ট দিনের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মিল। কারণ ব্রেকফাস্টেই পাওয়া যায় সারাদিনের এনার্জি। জানেন কি দেশের নানা রাজ্যে মানুষের পছন্দের ব্রেকফাস্ট কী কী? কোথাও দিনের শুরু হয় চটপটে, মুখরোচক ব্রেকফাস্ট দিয়ে, আবার কোথাও স্বাস্থ্যকর খাবারই পছন্দ করেন মানুষ। গ্যালারির পাতায় রইল নানা রাজ্যের সুস্বাদু এবং স্বাস্থ্যকর কিছু ব্রেকফাস্টের হদিশ।
গুজরাতে মুথিয়া: প্রাতরাশে গুজরাতের মানুষ পছন্দ করেন মুথিয়া। ময়দা, মরসুমি সব্জি এবং মশলা দিয়ে বানানো মুথিয়া স্টিম বা ডিপ ফ্রাই করে রসুনের চাটনি দিয়ে খাওয়া হয়।
মেঘালয়ে জাডো: জাডো মূলত খাসির বিভিন্ন এলাকায় জনপ্রিয়। পর্ক ফ্যাট এবং চাল দিয়ে তৈরি এই ডিশ গরম গরম খাওয়া হয় সয়া চাটনি দিয়ে।
রাজস্থানে মিরচি বড়া: রাজস্থানে দিনের শুরু হয় চটপটে, মুখরোচক ব্রেকফাস্ট দিয়ে। লঙ্কা এবং আলুর পুর দিয়ে ভাজা মিরচি বড়া রাজস্থানে হট ফেভারিট।
অসমে জলপান: ব্রেকফাস্টে জলপান খুবই স্বাস্থ্যকর। চাল, চিঁড়ে এবং খইয়ের সঙ্গে দই আর গুড় মেখে সকালের জলখাবার সারেন অসমের মানুষ।
কাশ্মীরে শির চা এবং রুটি: নুন চা বা শির চা হল গোলাপি রঙের নুন দিয়ে জারানো এক রকম বিশেষ চা, যা কাশ্মীরিরা খুব পছন্দ করেন। ব্রেকফাস্টে শির চায়ের সঙ্গে বাড়িতে ভাজা রুটি দিয়ে প্রাতরাশ সারেন কাশ্মীরের মানুষ।
মধ্যপ্রদেশে জিলিপি এবং পোহা: মধ্যপ্রদেশের ফেভারিট ব্রেকফাস্ট গরম জিলিপির সঙ্গে পোহা। স্বাদ বদলের জন্যই মিষ্টি জিলিপির সঙ্গে মশলা দেওয়া ঝাল পোহা পছন্দ করেন মধ্যপ্রদেশের মানুষ।
গোয়াতে পাও-তোনাক: তোনাক হল কড়াইশুঁটি, আলু এবং সব্জি দিয়ে বানানো স্টু। ব্রেকফাস্টে পাঁউরুটির সঙ্গে এই গরম স্টু সার্ভ করা হয় গোয়াতে।
ছত্তীসগঢ়ে ফারা: ছত্তীসগঢ়ে দিনের শুরু হয় চটপটে ব্রেকফাস্ট দিয়ে। চালের গুঁড়ো, তিল, কারি পাতা এবং মশলা দিয়ে তৈরি সরু চাকলি ফ্রাই করে চাটনি দিয়ে খাওয়ার চল রয়েছে ছত্তীসগঢ়ে।
তামিলনাড়ুতে উপ্পু উড়ুনদাই: চাল ওবং চানা ডাল এক সঙ্গে সিদ্ধ করে তাতে সর্ষে, কারি পাতা এবং নানা মশলা ফোড়ন দিয়ে রান্না করা হয়। উপ্পু উড়ুনদাই তামিলনাড়ুতে খুবই জনপ্রিয়।