গুছিয়ে রাখা ঘরে ঢুকলে মন যেমন ভাল হয়ে যায়, অগোছালো ঘর তেমনই আমাদের মেজাজ বিগড়ে দেয়। সারা দিন চারপাশ অগোছালো থাকলে স্ট্রেস এনার্জি জেঁকে বসে। এতে এনার্জি ক্ষয় হয়, ক্লান্ত লাগে।
অনেকেরই পুরনো জিনিস বাড়িতে জমিয়ে রাখার অভ্যাস থাকে। যে জিনিসের প্রয়োজন ফুরিয়েছে, আর ব্যবহার করেন না, সেই সব জিনিস জমিয়ে রাখলে স্ট্রেস বাড়ে।
ঘরে ঢোকার মুখেই একগাদা জিনিসপত্র রেখে অগোছালো করে রাখবেন না। এতে ঘরে ঢুকেই মেজাজ বিগড়ে যায়। স্ট্রেসড লাগে।
অনেকেই ঘরে জায়গা বাঁচাতে অপ্রয়োজনীয় বা প্রয়োজনীয় জিনিস খাটের তলায় রাখেন। খাট বিশ্রাম নেওয়ার জায়গা। খাটের তলায় জিনিসপত্র থাকলে আমাদের ঘুমে ব্যাঘাত ঘটে ও এনার্জি কমে যায়।
ঘরের আয়নায় কী প্রতিফলিত হচ্ছে তা খুব জরুরি। আয়নায় খাট বা কোনও অগোছালো জিনিসের স্তুপ প্রতিফলিত হলে তা আমাদের ক্লান্ত, অবসন্ন করে দেয়।
অনেকেই আমরা বাড়িতে গাছ, ফুল সাজিয়ে রাখতে ভালবাসি। শুকিয়ে যাওযার পরও সেগুলো থেকে যায় কিছুদিন। বাড়িতে শুকনো ফুল, গাছের পাতা থাকলে তা আমাদের ডিপ্রেসড করে দিতে পারে।
আমরা অনেক সময় প্রিয় জিনিস ভেঙে গেলেও তা প্রাণে ধরে ফেলে দিতে পারি না। কাজে লাগবে না জেনেও বাড়িতে জমিয়ে রাখি। এই সব জিনিস আমাদের স্ট্রেস দেয় ও এনার্জি শুষে নেয়।
খাট ঘরের এমন জায়গায় রাখুন যাতে এনার্জি ফ্লো করতে পারে। কোণ ঘেঁষে বা দেওয়ালে ঠেসে রাখলে এনার্জি ফ্লো ভাল হয় না। এই খাটে ঘুমোলে ক্লান্তি নিয়ে ঘুম ভাঙে।
অনেকেই বেডরুম সাজাতে খাটের উপর সুন্দর আলো লাগান।<br> ঘুমনোর সময় উপর থেকে কিছু ঝুললে তা আমাদের এনার্জি শুষে নেয়।<br> ক্লান্ত করে দেয়। সিলিং ফ্যানের ক্ষেত্রেও যা হয়ে থাকে।
ইলেকট্রিক্যাল সামগ্রী: শোওয়ার ঘরে টিভি বা কম্পিউটার থাকলে, বিছানায় ফোন নিয়ে ঘুমোলে তা আমাদের এনার্জি কমিয়ে দেয়।