সহজেই বানিয়ে ফেলুন ইলিশ পাতুরি।—নিজস্ব চিত্র।
বর্ষা আর পকেট ভরসা দিলে বাঙালি ইলিশমুখো হবে না, তা আবার হয় নাকি! তবে কেবল বর্ষা বলেই নয়, শীতে সরস্বতী পুজো পর্যন্তই বাঙালির পাতে ইলিশ ওঠে। ইলিশের নানাবিধ রেসিপিই বাঙালিই মন টানে। নানা রেস্তরাঁতেও চাহিদার কথা মাথায় রেখে ইলিশের নানাবিধ পদ রখা হয়।
তবে কাঁটার ভয়ে ইলিশ খান না এমন বাঙালিও আছেন। তাঁদের জন্যই আজ এমন এক রান্নার সন্ধান রইল, যা জিভে জল তো আনবেই, সঙ্গে কাঁটা বেছে ইলিশ খাওয়ার ঝক্কিও কমাবে।
ভেটকির মতোই বোনলেস ইলিশ দিয়ে সহজেই বানিয়ে ফেলুন ‘ইলিশ পাতুরি’। পোলাও বা ভাতের সঙ্গে সহজেই সাফ হবে পাত। দেখে নিন এর উপকরণ ও প্রণালী।
উপকরণ
ইলিশ মাছ (বোনলেস করে কাটা)
সরষে বাটা: পরিমাণ মতো
পোস্ত: ১/২ টেবিল চামচ
কাঁচা লঙ্কা বাটা: স্বাদ অনুযায়ী
গোটা কাঁচা লঙ্কা:
সরষের তেল
হলুদ গুঁড়ো: ১ টেবিল চামচ
নুন: স্বাদ অনুযায়ী
কলাপাতা ও সুতো (মোড়ার জন্য)
প্রণালী: প্রথমে কাঁটাবিহীন ইলিশগুলিকে খুব অল্প তেলে হালকা তেলে নেড়েচেড়ে নিন। অনেকেই এইপদটিনাভেজেইখেতেপছন্দকরেন।তেমন পছন্দ হলে তেলে নাড়বেন না। এর পর একটি পাত্রে সরষে বাটা,পোস্ত, লঙ্কা বাটা,পরিমাণ মতো তেল, নুন দিয়ে ভাল করে একটি মিশ্রণ বানিয়ে নিন। এ বার কাঁটাহীন ইলিশের সঙ্গে এই মিশ্রণটি ভাল করে মাখিয়ে নিন।
এ বার কলাপাতাটিকে এমন ভাবে কাটুন যাতে প্রতি টুকরো দিয়ে ইলিশ মাছের টুকরোগুলোকে মোড়া যায়। আগুনের তাপে কলাপাতাকে আগেই ভাপিয়ে রাখুন, যাতে সেগুলিকে সহজেই মোড়ানো যায়।
এ বার একটি কলাপাতার টুকরো নিন, তাতে ভাল করে তেল মাখান। তাতে আগে থেকে ম্যারিনেট করা ইলিশ মাছের টুকরো রাখুন। উপরে একটি কাঁচা লঙ্কা চিরে দিন। এ বার কলাপাতাটিকে ভাল করে মুড়িয়ে সুতো বেঁধে দিয়ে বেঁধে দিন।
এ বার একটি বড় পাত্র গরম করে নিন। তাতে অল্প সরষের তেল দিয়ে এক এক করে কলাপাতায় মোড়ানো ইলিশগুলো রাখুন। তার পর পাত্রটি ঢেকে দিন। অল্প আঁচে রান্না হতে দিন। ১৫ মিনিট পর ঢাকনা সরিয়ে কলাপাতা উল্টে দেখুন। যদি কালো হয়ে যায় তবে তা উল্টে আবার ঢেকে দিন। আরও পাঁচ মিনিট রাখুন। এ বার নামিয়ে নিলেই তৈরি আপনার পছন্দের ইলিশ পাতুরি।