(বাঁ দিকে) ব্রিয়ান্না বারধির সঙ্গে কার্লোস আলকারাজ় (ডান দিকে)। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
টেনিসজীবনের ষষ্ঠ গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের গুরুত্ব কার্লোস আলকারাজের কাছে একটু বেশি। ইউএস ওপেন ফাইনালে ইয়ানিক সিনারকে হারিয়ে আবার বিশ্বের এক নম্বর টেনিস খেলোয়াড় হলেন স্পেনের ২২ বছরের তরুণ। আর্থার অ্যাশ স্টেডিয়ামের অনুষ্ঠান শেষ হতেই আলকারাজ় ছোটেন ক্লাব চেজ় মার্গাক্সে।
নিউ ইয়র্কের নৈশক্লাবে ঢুকতে পারেন শুধু সদস্যেরা। ইউএস ওপেন জেতার পর রবিবার রাতে আলকারাজ় চলে যান নিউ ইয়র্কের অভিজাত ক্লাবে। তাঁর সঙ্গে ছিলেন টিমের সব সদস্য। হেড কোচ হুয়ান কর্লোস ফেরারোও। ক্লাবে পৌঁছে খোলা হয় শ্যাম্পেনের একের পর এক বোতল। শ্যাম্পেন-স্নান করেন আলকারাজ়েরা। যে যাঁকে সামনে পেয়েছেন, তাঁর মাথাতেই শ্যাম্পেন ঢেলে দিয়েছেন। প্রধান কোচ ফেরারোও ছাড় পাননি। আমেরিকার গায়িকা টেলর সুইফটের প্রিয় এই ক্লাবে নৈশ পার্টির কিছু ছবি ভাইরাল হয়েছে সমাজমাধ্যমে।
আলকারাজ়ের পার্টিতে ছিলেন হলিউড অভিনেত্রী লুপিতা নিয়ং’ও, মডেল ব্রিয়ান্না বারধি, টিকা কামাইয়েরা। খ্যাতনামীদের অনেকেই আলকারাজ়-সিনার ফাইনাল দেখে নৈশক্লাবে গিয়েছিলেন। তাঁদের ছবি তোলার অনুরোধ হাসি মুখে রেখেছেন আলকারাজ়। আমন্ত্রিতদের আতিথেয়তার দায়িত্বে ছিলেন কোচ ফেরারো। নৈশভোজের দেখভালও করেন তিনি। গ্র্যান্ড স্ল্যাম জয়ের রাতে ছাত্রকে এ সবে ব্যস্ত রাখেননি। মাঝরাত পর্যন্ত চলে পার্টি। উল্লেখ্য, শনিবার এই ক্লাবেই ইউএস ওপেন জয়ের পার্টি করেছিলেন মহিলাদের সিঙ্গলস চ্যাম্পিয়ন এরিনা সাবালেঙ্কা।
ইউএস ওপেনের আয়োজকেরাই চ্যাম্পিয়নদের উৎসব পালনের জন্য ক্লাব চেজ় মার্গাক্স ভাড়া নিয়ে রেখেছিলেন। ৩০ বছরের কম বয়সীরা সরাসরি এই ক্লাবের সদস্য হতে পারেন না। তাঁদের আবেদন করতে হয়। কর্তৃপক্ষ আবেদন মঞ্জুর করলে তাঁরা সদস্য পদ পান। সে জন্য দিতে হয় ২০০০ ডলার (প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার টাকা)। এ ছাড়া প্রতি বছর দিতে হয় ৩০০০ ডলার (প্রায় ২ লাখ ৬৫ হাজার টাকা)। যাঁদের বয়স ৩০ বছরের বেশি তাঁদের সদস্য পদ পাওয়ার জন্য খরচ করতে হয় ৩০০০ ডলার। এ ছাড়া বছরে দিতে হয় ৪০০০ ডলার (প্রায় ৩ লাখ ৫৪ হাজার টাকা)।
স্টেডিয়াম ছাড়ার আগে সাজঘরেও এক প্রস্থ উৎসব হয়। সেখানে উপস্থিত ছিলেন শুধু আলকারাজ়ের টিমের সদস্যেরাই। খানিকক্ষণ হুল্লোড়ের পর তাঁরা সকলে নৈশক্লাবে যান।