National Sports Bill

লোকসভায় পাস হয়ে গেল ক্রীড়া বিল, স্বাধীনতার পর খেলায় সবচেয়ে বড় সংস্কার, দাবি কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মাণ্ডবীয়র

দীর্ঘ অপেক্ষার পর সোমবার লোকসভায় পাস হয়ে গেল জাতীয় ক্রীড়া বিল। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় একে বর্ণনা করলেন ‘স্বাধীনতার পর ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংস্কার’ বলে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১১ অগস্ট ২০২৫ ১৭:৫৫
Share:

ক্রীড়া বিল নিয়ে সংসদে কথা বলছেন কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয়। ছবি: পিটিআই।

দীর্ঘ অপেক্ষার পর সোমবার লোকসভায় পাস হয়ে গেল জাতীয় ক্রীড়া বিল। কেন্দ্রীয় ক্রীড়ামন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডবীয় একে বর্ণনা করলেন ‘স্বাধীনতার পর ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংস্কার’ বলে। বেলা ২টোর পর লোকসভা আবার বসলে জাতীয় ডোপিং-বিরোধী (সংশোধনী) বিলও পাস হয়ে যায়।

Advertisement

বিল পাসের পর মাণ্ডবীয় বলেন, “স্বাধীনতার পর ক্রীড়াক্ষেত্রে সবচেয়ে বড় সংস্কার হল। এই বিলের সাহায্যে ক্রীড়া সংস্থাগুলোর বিশ্বাসযোগ্যতা, বিচার নিশ্চিত করা এবং সেরা প্রশাসনের ব্যবস্থা করা হবে। ভারতের খেলাধুলোর বাস্তুতন্ত্রে এই বিলের তাৎপর্য অপরিসীম। দুর্ভাগ্যজনক ভাবে এত গুরুত্বপূর্ণ একটা বিল এবং সংস্কারে বিরোধী পক্ষ অংশ নিল না।”

লোকসভায় এই বিল পেশ হওয়ার সময় বিরোধী দলগুলির বেশির ভাগ সদস্য হাজির ছিলেন না। এসআইআর-এর বিরোধিতায় তাঁরা যখন নির্বাচন সদনের দিকে যাচ্ছিলেন, তখন তাঁদের আটক করা হয়। তবে দু’জন সাংসদ বিলের সপক্ষে মুখ খোলার সময় বিরোধী দলগুলোর সদস্যেরা লোকসভায় আসেন এবং স্লোগান তুলে থাকেন। তার মধ্যে ধ্বনিভোটে এই বিল পাস হয়ে যায়। মাণ্ডবীয় ভাষণ দেওয়ার সময়েও বিরোধীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন।

Advertisement

২০৩৬ অলিম্পিক্স আয়োজনের জন্য বিড করবে ভারত। তার আগে ক্রীড়া বিল হওয়া দরকারি ছিল বলে মনে করেন মাণ্ডবীয়। তাঁর কথায়, “১৯৭৫ এং ১৯৮৫ সালেও এই চেষ্টা করা হয়েছিল। প্রথম খসড়া তৈরি ছিল। তবে খেলাধুলো বরাবরই ব্যক্তিগত স্বার্থে ব্যবহার করা হয়েছে। কিছু মন্ত্রী এই বিল পেশ করার চেষ্টা করলেও সফল হননি। ২০১১ সালে জাতীয় ক্রীড়াবিধি তৈরি হয়। তার পরে আবার বিল তৈরির উদ্যোগ নেওয়া হয়। মন্ত্রীসভায় পৌঁছনোর পর আবার বিল পেশের সময় পিছিয়ে যায়।”

এই বিলে জাতীয় ক্রীড়া সংস্থাগুলিকে নিয়মিত কর্মসমিতির নির্বাচন করতে হবে। না হলে তাদের স্বীকৃতি কেড়ে নেওয়া হবে। প্রতি বছর অডিট করাতে হবে। জাতীয় ক্রীড়া ট্রাইব্যুনাল গড়ে তোলা হবে, যেখানে ক্রীড়াক্ষেত্রে যাবতীয় মামলার মীমাংসা করা হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement