ছবি: (এআই সহায়তায় প্রণীত)।
বহু দিন ধরে ম্যাগি খেতে ইচ্ছা করছিল কিশোরের। কিন্তু মায়ের কাছে অনুরোধ করতে ভয় পাচ্ছিল। এ দিকে, হাতে টাকা নেই। ম্যাগি কিনতে গেলে তো টাকা চাই! মায়ের কাছে হাত পাতলে শাস্তি পাওয়ার প্রবল আশঙ্কা। তাই অন্য উপায়ে টাকা জোগাড়ের ফন্দি আঁটল সে। কয়েক দিন পর তার দিদির আংটিবদলের অনুষ্ঠান রয়েছে।
দিদির জন্য একটি সোনার আংটিও কেনা হয়েছে। সেই আংটি বিক্রি করে ম্যাগি কেনার টাকা জোগাড় করবে বলে ঠিক করল কিশোর। যেমন ভাবা তেমন কাজ। সন্তর্পণে দিদির বাগ্দানের আংটি চুরি করে সোজা গয়নার দোকানে ছুটল সে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, এই ঘটনাটি সম্প্রতি কানপুরের শাস্ত্রীনগর এলাকায় ঘটেছে। সেখানকার এক বাসিন্দা পুষ্পেন্দ্র জয়সওয়াল। গয়নার দোকানের মালিকানা রয়েছে তাঁর। পুষ্পেন্দ্রের দাবি, সম্প্রতি তাঁর দোকানে একটি সোনার আংটি নিয়ে যায় ১৩ বছর বয়সি এক কিশোর। সোনার আংটিটি বিক্রি করতে চায় সে।
সন্দেহ হওয়ায় সম্পূর্ণ বিষয়টি কিশোরের কাছে বিশদে জানতে চান পুষ্পেন্দ্র। কিশোর জানায় যে, তার ম্যাগি খাওয়ার ইচ্ছা করছে। কিন্তু হাতে টাকা নেই। তাই কিশোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে, দিদির আংটি বিক্রি করে যে টাকা পাবে তা দিয়েই ম্যাগি কিনে খাবে।
কিশোরের কাছ থেকে তার মায়ের ফোন নম্বর জেনে যোগাযোগ করেন গয়নার দোকানের মালিক। কিশোরের মাকে পুরো বিষয়টি জানান তিনি। সব শুনে দোকানে ছুটে যান কিশোরের মা। তাঁর দাবি, কয়েক দিন পর তাঁর কন্যার আংটিবদলের অনুষ্ঠান রয়েছে। সেই ব্যস্ততার মাঝে পরিবারের কেউ কিশোরের আংটি ‘চুরি’র ঘটনা লক্ষ করেননি।
দিদির বাগ্দানের সোনার আংটিটি সকলের অগোচরে সরিয়ে ফেলে কিশোর। তার পর গয়নার দোকানে চলে যায় সে। পুষ্পেন্দ্র আংটিটি কিশোরের মায়ের হাতে তুলে দেন। পুত্রকে নিয়ে বাড়ি চলে যান তাঁর মা। তবে তার কপালে ম্যাগি জুটেছিল কি না তা জানা যায়নি।