—প্রতীকী ছবি।
বড়দিনে অনুরাগীদের কাছ থেকে প্রচুর উপহার পান তরুণী। সাহসী পোশাক উপহার দিয়ে তা পরে ছবি এবং ভিডিয়ো পাঠানোর অনুরোধ করেন তাঁর অনুরাগীরা। কিন্তু তা বড় একঘেয়ে লাগে তরুণীর। বড়দিনে উপহার পাওয়ার মজাই নষ্ট হয়ে যায় তাঁর। তাই চলতি বছরে নতুন পন্থা অবলম্বন করলেন তিনি। প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের একটি তালিকা তৈরি করলেন তরুণী। অনুরাগীদের জানালেন, সেই তালিকার বাইরে অন্য উপহার গ্রহণ করবেন না তিনি। অনুরাগীরাও তাঁদের প্রিয় দুষ্টু মডেলের অনুরোধ ফেলতে পারলেন না। বড়দিনে সেই তালিকা অনুযায়ীই উপহার পাঠিয়ে দিলেন তরুণীর ঠিকানায়।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণী মডেলের নাম অ্যালিক্স লিঙ্কস। ৩৬ বছর বয়সি অ্যালিক্স বর্তমানে ম্যানহ্যাটানের বাসিন্দা। সমাজমাধ্যমে দুষ্টু ছবি এবং ভিডিয়ো পোস্ট করে উপার্জন করেন তিনি। অ্যালিক্সের দাবি, টাকাপয়সার কোনও অভাব নেই তাঁর। নিজের ইচ্ছা নিজেই পূরণ করে নিতে পারেন তিনি। প্রতি বছর বড়দিনে তাঁর অনুরাগীরা প্রচুর সাহসী পোশাক উপহার দেন। সেই পোশাক পরে দেখানোর অনুরোধও জানান তাঁরা। এর ফলে বড়দিনে উপহার পাওয়ার মজাই নষ্ট হয়ে গিয়েছে অ্যালিক্সের। তাই চলতি বছরে অন্য পরিকল্পনা করেছেন তিনি।
তাঁর যে যে জিনিসগুলি প্রয়োজন, সেগুলির একটি তালিকা তৈরি করেন অ্যালিক্স। ৬৫টি জিনিসের নাম লিখে একটি দীর্ঘ তালিকা তৈরি করে তা অনুরাগীদের জানান তিনি। সেই তালিকায় রয়েছে ১৩১ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ১১ হাজার ৭৬৫ টাকা) মূল্যের কফি মেশিন, ২৯৯ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ২৬ হাজার ৮৫২ টাকা) মূল্যের পোষ্যের বিছানা থেকে শুরু করে আরও অনেক কিছু।
পাখিদের খাওয়ানোর জন্য ‘বার্ড ফিডার’-এর পাশাপাশি কোমরে বাঁধার ছোট ব্যাগ, স্লিপ মাস্কের মতো কম দামি জিনিসও উপহারের তালিকায় লিখে রেখেছেন অ্যালিক্স। তরুণীর দাবি, সেই তালিকা অনুসরণ করে অনুরাগীদের কাছ থেকে উপহার পেয়েছেন তিনি। পরের বছর বড়দিনে তালিকায় প্রয়োজনীয় জিনিসের পরিবর্তে মজাদার জিনিস লিখে রাখবেন তিনি। এমনটাই দাবি করেছেন দুষ্টু মডেল।