Bengaluru

মায়ের হাত ভেঙে যাওয়ায় বাড়ি থেকে কাজ করার আর্জি, প্রমাণ দেখেও তরুণীর আবেদন খারিজ করে বস্‌ দিলেন অদ্ভুত যুক্তি!

গত সপ্তাহে স্কুটার থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যায় তরুণীর মায়ের। তাঁর ভাইও ভীষণ চোট পান। তরুণীর ভাই তাঁর অফিসে সে কথা জানানোয় সংস্থার তরফে মাত্র দু’দিন ছুটি দেওয়া হয়।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অক্টোবর ২০২৫ ১৪:৪৮
Share:

—প্রতীকী ছবি।

ভাইয়ের সঙ্গে গত সপ্তাহে স্কুটারে চেপে ঘুরতে বেরিয়েছিলেন তরুণীর মা। কিন্তু পথ দুর্ঘটনার শিকার হয়ে স্কুটার থেকে পড়ে যান দু’জনে। তরুণীর মায়ের হাত ভেঙে যায়। তরুণীর ভাইও ভীষণ চোট পান। অফিসে সে কথা জানিয়ে বাড়ি থেকে কাজে বসার (‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’) আবেদন করেন তরুণী। কিন্তু সেই আবেদন খারিজ করে দেন তাঁর ঊর্ধ্বতন। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় সেই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্ট করা হয়েছে (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)

Advertisement

‘আর/ইন্ডিয়া’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে এক তরুণীর জামাইবাবু পুরো ঘটনাটি বর্ণনা করেছেন। কর্মসূত্রে পরিবারের সঙ্গে বেঙ্গালুরুতে থাকেন তরুণী। সেখানকার এক প্রযুক্তি সংস্থার কর্মী তিনি। গত সপ্তাহে স্কুটার থেকে পড়ে গিয়ে হাত ভেঙে যায় তরুণীর মায়ের। তাঁর ভাইও ভীষণ চোট পান।

তরুণীর ভাই তাঁর অফিসে সে কথা জানানোয় সংস্থার তরফে মাত্র দু’দিন ছুটি দেওয়া হয়। সম্পূর্ণ সুস্থ না হতেই অফিস যেতে শুরু করেন তিনি। তাঁর এক আত্মীয় প্রতি দিন অফিসে পৌঁছে দেন, আবার ছুটির সময় অফিস থেকে বাড়িতে নিয়ে যান।

Advertisement

মায়ের এমন অবস্থা দেখে সংস্থার ঊর্ধ্বতনদের কাছে আগামী এক মাস বাড়ি থেকে অফিসের কাজ সারার অনুমতি চান তরুণী। জানান যে, তাঁর মায়ের হাত ভেঙে যাওয়ার কারণে কোনও কাজ করতে পারবেন না তিনি। সংসারের সব কাজ সামলাতে হবে তরুণীকেই। তাই ‘ওয়ার্ক ফ্রম হোম’-এর অনুরোধ করেছিলেন তিনি। সংস্থার ঊর্ধ্বতনেরা প্রথমে তাঁর কথায় অবিশ্বাস করেন।

তরুণীর মায়ের স্বাস্থ্যপরীক্ষার সমস্ত ফলাফল দেখতে চেয়ে তাঁকে অফিসে ডেকে পাঠানো হয়। সমস্ত রিপোর্ট দেখার পরও তরুণীর আবেদন খারিজ করে দেন ঊর্ধ্বতনেরা। তাঁদের দাবি, অফিসে কর্মীসংখ্যা কম। তাই অফিসে এসেই কাজ করতে হবে। বাড়ি থেকে বসে কাজ করা যাবে না। এই পোস্টটি দেখে ক্ষোভে ফেটে পড়েন নেটপাড়ার একাংশ। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘তরুণী তো এক মাস ছুটি চাইছেন না। বাড়ি থেকেই কাজ করতে চেয়েছিলেন। সংস্থার কাছে আগে অফিস, তার পর পরিবার।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement