—প্রতীকী ছবি।
শোয়ার ঘরে নগ্ন হয়ে ঘুমোচ্ছিলেন। তাঁকে সেই অবস্থায় দেখে ফেলেন আবাসনের কাচের জানালা পরিষ্কারের দায়িত্বে থাকা দুই কর্মী। এর পরেই হতাশায় ডুবলেন তরুণী। আর তা দেখে আবাসনের ভাড়া না দেওয়ার দাবি তুললেন তাঁর স্বামী। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চিনে। সেই ঘটনা হইচইও ফেলেছে নেটপাড়ায়।
সংবাদমাধ্যম ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট’-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম সিচুয়ান প্রদেশের চেংডুতে একটি বিলাসবহুল আবাসনে ভাড়া থাকেন ওই তরুণী এবং তাঁর স্বামী চেং। ওই আবাসনে থাকতে প্রতি মাসে ১০,০০০ ইউয়ান (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ১লক্ষ ২৪ হাজার) ভাড়া দেন তাঁরা। দম্পতির দাবি, গত ২৫ এপ্রিল সকালে বসার ঘরে কাজ করছিলেন চেং। স্ত্রী ঘুমোচ্ছিলেন শোয়ার ঘরে। হঠাৎ স্ত্রীর চিৎকার শুনে সেখানে দৌড়ে যান চেং। দেখেন, স্ত্রী নগ্ন হয়ে বিছানার উপর বসে এবং জানালার বাইরে তাঁকে দেখছেন দুই পুরুষ সাফাইকর্মী। চেং দৌড়ে গিয়ে পর্দা টেনে দেন।
এর পরেই ওই সাফাইকর্মীরা যে সংস্থার হয়ে কাজ করছিলেন, তাদের দ্বারস্থ হন দম্পতি। আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধেও অভিযোগ তোলেন। দম্পতির দাবি, কোন সময় আবাসনে সাফাইকাজ হবে, তা তাঁদের আগে থেকে জানানো উচিত ছিল উভয় পক্ষেরই। কিন্তু কেউই তা জানায়নি।
সংবাদমাধ্যমে চেং বলেন, ‘‘ওরা কেবল জানিয়েছিল ২১ এপ্রিল থেকে ৩০ এপ্রিল পর্যন্ত দিনের বেলায় জানালার কাচ পরিষ্কার করা হবে। পুরো ১০ দিন পর্দা না খোলা আমাদের পক্ষে সম্ভব ছিল না। নির্দিষ্ট কোন সময়ে আমাদের বাড়ির জানালার কাচ পরিষ্কার হবে, তা আগে থেকে জানানো উচিত ছিল।’’
চেংয়ের দাবি, ওই ঘটনার পর থেকে তাঁর স্ত্রী হতাশায় এবং নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। চিকিৎসকের কাছেও যেতে হচ্ছে তাঁদের। তাই ওই সম্পত্তি ব্যবস্থাপনা সংস্থার কাছে জনসমক্ষে ক্ষমা চাওয়ার এবং ক্ষতিপূরণের দাবি জানিয়েছেন তিনি। বাড়িভাড়া কম করে দেওয়ারও দাবি তুলেছেন তিনি। খবর, সেই দাবিতে রাজি হয়ে বাড়ির লক্ষাধিক ভাড়া প্রায় সাড়ে সাত হাজার টাকা কমাতে রাজি হয়েছে সংস্থা। তবে চেং স্পষ্ট জানিয়েছেন, তিনি তাতে সন্তুষ্ট নন।
ঘটনাটি ইতিমধ্যেই নেটপাড়ার দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। সমালোচনার ঝড় উঠেছে সমাজমাধ্যমে। মিশ্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। ওই সংস্থা এবং আবাসন কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মামলা করার পরামর্শ দিয়েছেন কেউ কেউ। যদিও তরুণীর স্বামীর ভাড়া কমানোর দাবি অদ্ভুত বলে মনে করছেন নেটাগরিকদের একাংশ।