ছবি: এআই সহায়তায় প্রণীত।
শ্বশুরের শেষকৃত্যে কালো পোশাকে হাজির স্বামীর প্রেমিকা। দেখেই তেলেবেগুনে জ্বলে উঠলেন বধূ। তার পরেই ফাঁস করলেন স্বামীর ১৬ বছরের পরকীয়ার কথা। সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব চিনের শানডং প্রদেশে। ঘটনাটিকে কেন্দ্র করে ইতিমধ্যেই হইচই পড়ে গিয়েছে।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, শ্যাং নামের ওই বধূ ১৯ বছর বিবাহিতা। স্বামী ওয়াংয়ের সঙ্গে ভাল ভাবেই সংসার করছিলেন তিনি। কিন্তু শ্বশুর মারা যাওয়ার পর শেষকৃত্যে শোকাহতদের মধ্যে অপরিচিত এক মহিলাকে লক্ষ করেন শ্যাং। কালো পোশাক পরিহিতা তরুণীকে দেখে সন্দেহ জাগে তাঁর মনে। ওয়েন নামে ওই তরুণী সকলের কাছে নিজেকে মৃতের পূত্রবধূ হিসাবে পরিচয় দিচ্ছেলেন। কফিনের পাশে বসে কাঁদতেও দেখা যায় তাঁকে। তরুণীর এ-হেন কীর্তিতে অবাক হয়ে যান শ্যাং। কারণ, মৃতের পূত্রবধূ যে তিনিই।
শ্যাং যখন ওয়াংয়ের কাছে ওয়েনের বিষয়ে জানতে চান, তখন স্বামীর উত্তর তাঁকে আরও সন্দেহপ্রবণ করে তোলে। খোঁজখবর নিয়ে শ্যাং জানতে পারেন ওয়েনের সঙ্গে বিগত ১৬ বছর ধরে সম্পর্ক রয়েছেন ওয়াং। কিন্তু সেই সম্পর্কের কথা বেমালুম চেপে গিয়েছিলেন তিনি। এর পরেই বিষয়টি নিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হন শ্যাং।
মামলা চলাকালীন প্রকাশ্যে আসে, শ্যাংয়ের সঙ্গে বিয়ের তৃতীয় বছরে ওয়েনের সঙ্গে আলাপ হয় ওয়াংয়ের। প্রেম শুরু হয় দু’জনের মধ্যে। ওয়াংয়ের পুত্রসন্তানেরও জন্ম দেন ওয়েন। কিন্তু ১৬ বছর ধরে এ সব কথা ঘুণাক্ষরেও টের পাননি শ্যাং। অন্য দিকে, আদালতে ওয়াং যুক্তি দেন যে তিনি এবং ওয়েন কখনও আনুষ্ঠানিক ভাবে বিয়ে করেননি। একে অপরের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শুধু। যদিও ওয়াংয়ের যুক্তি ধোপে টেকেনি। আদালতের পর্যবেক্ষণ, শ্যাংয়ের সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই ওয়েনের সঙ্গে ছিলেন ওয়াং। নিজেদের বিভিন্ন জায়গায় স্বামী-স্ত্রী হিসাবেও পরিচয় দেন, যা দ্বি-বিবাহের সমান। আর সে কারণে তাঁকে এক বছরের কারাদণ্ডের সাজা শুনিয়েছে পূর্ব চিনের একটি আদালত। আদালতের রায়কে ওয়াং চ্যালেঞ্জ করলেও তাঁর আবেদন প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে বলে খবর।
ঘটনাটি ইতিমধ্যেই হইচই ফেলেছে চিন জুড়ে। সমাজমাধ্যমেও আলোড়ন ফেলেছে। ঘটনার কথা শুনে নেটাগরিকদের অনেকে যেমন মজার মজার মন্তব্য করেছেন, তেমনই অনেকে আবার বিস্ময়ও প্রকাশ করেছেন।