ছবি: সংগৃহীত।
কিছু কিছু কর্মী দাবি করেন, কর্পোরেট সেক্টরের বিষাক্ত পরিবেশে তাঁরা বিরক্ত। সংস্থায় অসুস্থতাজনিত ছুটি থাকলেও তা নাকি কেবল কাগজে-কলমেই সীমাবদ্ধ। কেউ কেউ আবার দাবি করেন, ছুটি চাইলেই তাঁদের বসের মুখ গোমড়া হয়ে যায়। সম্প্রতি তেমনই এক কর্পোরেট কর্মী সম্প্রতি নিজের অভিজ্ঞতার কথা ভাগ করে নিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। সমাজমাধ্যম রে়ডিটে দাবি করেছেন, অসুস্থতার কারণে বসের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু বসের উত্তর শুনে হতবাক হয়ে যান। ওই কর্মী দাবি করেছেন, মানসিক স্বাস্থ্যের কথা তো দূর অস্ত্, সংস্থা তাঁর মতো কর্মীদের শারীরিক অসুস্থতাকেও গুরুত্ব দেয় না। ওই কর্মী অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেওয়ার পরেই হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যমে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা।
রেডিটে ওই কর্মী দাবি করেছেন, তীব্র পেটব্যথার কারণে মেসেজ করে বসের কাছে ছুটি চেয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাঁর মেসেজটি উপেক্ষা করেন বস্। বরং তাঁকে জিজ্ঞাসা না করেই একগাদা কাজ চাপিয়ে দেন তাঁর উপর।
পোস্টে ওই কর্মী লিখেছেন, ‘‘গত ৬-৭ মাস ধরে আমি এই সংস্থায় মার্কেটিং কোঅর্ডিনেটর হিসেবে কাজ করছি। খুব কমই ছুটি নিই। কিন্তু যখন আমি অসুস্থতার কারণে আমার বসের কাছে ছুটি চেয়েছিলাম, তখন তিনি আমায় বাড়ি থেকে কাজ করতে বলেন। অনেক কাজ দেন। আমাকে সংস্থার তরফে কোনও ল্যাপটপ দেওয়া হয়নি। মাইনেও বেশি নয়।’’
বসের সঙ্গে কথোপকথনের ছবিও রেডিটে শেয়ার করেছেন ওই কর্মী। সেখানে স্পষ্ট দেখা গিয়েছে যে, ওই কর্মীর ছুটি মঞ্জুর করেননি তাঁর বস্। উপরন্তু, পরোক্ষ ভাবে তাঁকে কাজ করতে বলেছেন। যদিও সংস্থা বা বসের নাম প্রকাশ্যে আনেননি ওই কর্মী।
ভাইরাল সেই পোস্ট ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন। তীব্র প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। এক ব্যবহারকারী বলেছেন, ‘‘এমন একটি সংস্থা থেকে দূরে থাকুন এবং ভাল বহুজাতিক সংস্থায় কাজ করুন।’’ অন্য এক জন আবার লিখেছেন, ‘‘কর্মীরা কি দাস? কর্মীদের স্বাস্থ্যের কথা কেউ ভাবে না। বসের কাছে ছুটি চাওয়া যেন অপরাধ।’’