দুর্ঘটনার মুহূর্ত। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ডুব দেওয়া শেখানোর জন্য কন্যাকে সুইমিং পুলে নিয়ে গিয়েছিলেন। তখনই ঘটে গেল মর্মান্তিক দুর্ঘটনা। অগভীর পুলে লাফ দিয়ে মেরুদণ্ড ভেঙে মৃত্যু হল ৩৭ বছর বয়সি যুবকের। দাঁড়িয়ে দেখল অসহায় কন্যা। গত ১৮ অক্টোবর চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে চিনের নিংবোতে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। যদিও ভিডিয়োটির সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, ১৮ অক্টোবর ৭ বছর বয়সি কন্যাকে নিয়ে সুইমিং পুলে গিয়েছিলেন ওই যুবক। মেয়েকে সুইমিং পুলে সঠিক ভাবে ঝাঁপ দেওয়া এবং ডুব দেওয়ার কৌশল শেখানোর জন্য গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু সুইমিং পুলটি মাত্র ১.১ মিটার গভীর ছিল। সেটা জানতেন না যুবক। ডাইভ দিতেই তাঁর মাথা সুইমিং পুলে মেঝেতে গিয়ে ধাক্কা খায়। তাঁর মেরুদণ্ড ভেঙে যায়। আঘাতের কারণে সঙ্গে সঙ্গে নড়াচড়ার ক্ষমতা হারান। সাহায্যের জন্যও কাউকে ডাকতেও পারেননি তিনি। কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে যায় কন্যাও। প্রায় ১৫ মিনিট সুইমিং পুলে ভেসে থাকার পর কয়েক জন এসে যুবককে উদ্ধার করেন। সঙ্গে সঙ্গে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। পাঁচ দিন পরে চিকিৎসাধীন থাকার পর মৃত্যু হয় তাঁর। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, ঘাড়ে মারাত্মক আঘাত লাগার কারণেই মৃত্যু হয়েছে তাঁর। যুবকের সুইমিং পুলে পড়ার ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে।
ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে সংবাদমাধ্যম ‘সাংহাই ডেলি’-র এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। ভিডিয়োটি দেখে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন নেটাগরিকেরা। যুবকের মর্মান্তিক পরিণতির কথা ভেবে দুঃখ প্রকাশ করেছেন অনেকে। এক নেটাগরিক ভিডিয়োটি দেখার পর লিখেছেন, ‘‘চোখের সামনে বাবার মৃত্যু দেখা এক কন্যার জন্য খুবই মর্মান্তিক। দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা।’’