—প্রতীকী ছবি।
উপার্জন করতে বাড়ি ছেড়ে এসেছিলেন তরুণী। শিশু দেখভাল করার জন্য তাঁকে আয়ার কাজে নিযুক্ত করেছিলেন এক মহিলা। সারা দিন বাচ্চা সামলানোর দায়িত্ব ছিল তরুণীর। সেই বাড়িতেই থাকতেন তিনি। কিন্তু সেই বাড়ির বড় ছেলের সঙ্গেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন তরুণী। চাকরি হারানোর ভয়ে গোপন করে রেখেছিলেন সম্পর্কের কথা। কিন্তু মালকিনের কাছে ধরা পড়ে গেলেন বাড়ির আয়া।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণীর নাম হ্যানা অ্যালেন। কাজের সূত্রে বাড়ি ছেড়ে স্পেনের মালোর্কায় গিয়েছিলেন তিনি। সেখানে এক মহিলার সন্তান সামলানোর কাজে নিযুক্ত হয়েছিলেন তরুণী। আয়ার দায়িত্বপালনের পাশাপাশি পেশায় নেটপ্রভাবীও ছিলেন তিনি। দু’বছর ধরে মালকিনের সন্তান সামলাচ্ছেন হ্যানা।
প্রথম এক বছর কোনও অসুবিধা হয়নি তাঁর। কিন্তু দ্বিতীয় বছরে এক জটিল পরিস্থিতিতে জড়িয়ে পড়েন তিনি। মালকিনের বাড়িতে হাজির হন তাঁর সৎপুত্র জো। বয়সের বিশেষ পার্থক্য না থাকায় দিনের অবসর সময় জোয়ের সঙ্গেই কাটাতে শুরু করেন হ্যানা।
কখনও একসঙ্গে বসে গল্প করতেন, কখনও আবার সিনেমাও দেখতেন। এক দিন পালমা শহরে অনুষ্ঠিত ‘ওয়াইন ফেস্টিভাল’-এ জোয়ের সঙ্গে ঘুরতে যান হ্যানা। সেখানে গিয়ে দু’জনেই মদ্যপান করেন। গভীর রাতে বাড়ি ফেরেন তাঁরা। তার পর জোয়ের ঘরে গিয়ে সারা রাত গল্প করে কাটিয়ে দেন দু’জন। হ্যানার দাবি, পরের দিন সকালে উঠে তিনি দেখেন যে, একে অপরকে জড়িয়ে ধরে শুয়ে রয়েছেন তাঁরা।
ঘুম ভাঙতে চুমুও খেয়ে ফেলেন তাঁরা। তার পরেই হয় জো এবং হ্যানার সম্পর্কের সূচনা। কিন্তু হ্যানা ভয় পেতে শুরু করেন। সম্পর্কের কথা জানাজানি হলে তাঁর চাকরি নিয়েও টানাটানি হতে পারে, সেই ভয়ে সম্পর্কের কথা গোপন করে রেখেছিলেন তিনি। কিন্তু শত চেষ্টা করেও মালকিনের কাছে ধরা পড়ে যান তিনি।
হ্যানা জানান, কাজ নিয়ে হ্যানার সঙ্গে মতবিরোধ হয়েছিল জোয়ের সৎমায়ের। কথোপকথনের মাঝে উত্তেজিত হয়ে জোয়ের সঙ্গে সম্পর্ক রাখার বিষয়টি নিয়েও হ্যানার সঙ্গে সরাসরি কথা বলেন তিনি। হ্যানা ভেবেছিলেন, জোয়ের সৎমা হয়তো সম্পর্কের কথা জানার পর খুব রেগে যাবেন। কিন্তু হ্যানাকে অবাক করে দিয়ে তাঁকে হাসিমুখে জড়িয়ে ধরেন তাঁর প্রেমিকের সৎমা। তাঁর যে এই সম্পর্ক নিয়ে কোনও আপত্তি নেই, সে কথাও জানান তিনি। বর্তমানে জোয়ের সঙ্গে একত্রবাসে রয়েছেন হ্যানা। অন্য দিকে, জোয়ের বাড়িতে আয়ার কাজও সামলাচ্ছেন তিনি।