Uttar Pradesh

বাড়ি থেকে বেরিয়ে হাত ধরে রেললাইনে, চালকের হর্ন শুনেও নড়ল না দুই বোন! ধাক্কায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন দু’জনেরই দেহ

মৃত দুই কিশোরীর নাম রশ্মি যাদব এবং মুসকান। সম্পর্কে খুড়তুতো দুই বোন উত্তরপ্রদেশের মাখনপুর থানার জেবদার বাসিন্দা ছিল বলে জানা গিয়েছে।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৪ অগস্ট ২০২৫ ১২:১২
Share:

ছবি: এআই।

রেললাইনে হাত ধরে দাঁড়িয়েছিল দুই বোন। সামনে থেকে দ্রুত গতিতে ছুটে আসছিল একটি ট্রেন। দুই কিশোরীকে দেখে চালক হর্নও বাজান। কিন্তু দুই বোন সরেনি। ট্রেনের ধাক্কায় ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে যায় তাদের দেহ। মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের ফিরোজ়াবাদ জেলার শিকোহাবাদে। মৃত দুই কিশোরীর নাম রশ্মি যাদব এবং মুসকান বলে জানা গিয়েছে। সম্পর্কে খুড়তুতো দুই বোন উত্তরপ্রদেশের মাখনপুর থানার জেবদার বাসিন্দা ছিল।

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টা নাগাদ বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায় রশ্মি এবং মুসকান। রেললাইনে গিয়ে দাঁড়ায় তারা। সেই সময় ওই লাইন দিয়ে যাচ্ছিল নেতাজি এক্সপ্রেস। দুই কিশোরীকে দেখে বার বার হর্ন বাজান ট্রেনের চালক। কিন্তু তা শুনেও তারা লাইন থেকে সরেনি। চালকও ট্রেন থামাতে পারেননি। ফলে ট্রেন এসে দুই কিশোরীকে ধাক্কা মারে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাদের। খবর পেয়ে আরপিএফ এবং জিআরপি আধিকারিকেরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দু’টি উদ্ধার করেন। দেহ দু’টি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। রশ্মির ভাই মোহিত যাদবকে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর তাদের পরিচয় নিশ্চিত করে পুলিশ।

সংবাদমাধ্যম ‘অমর উজালা’র প্রতিবেদন অনুযায়ী, জিআরপি শিকোহাবাদ ফাঁড়ির ভারপ্রাপ্ত আধিকারিক হরিশ কুমার যাদব জানিয়েছেন, মঙ্গলবার খুড়তুতো দুই বোন রাগের বশে বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছিল। বাড়ি থেকে ৪ কিলোমিটার দূরে মাখনপুর রেলওয়ে ইয়ার্ডের কাছে চলে যায় তারা। এর পরেই দুর্ঘটনা ঘটে। ট্রেনের ধাক্কায় দুই বোনের দেহ ছিন্নবিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

Advertisement

পুলিশ আরও জানিয়েছে, মর্মান্তিক দুর্ঘটনা সত্ত্বেও ওই দুই কিশোরীর পরিবার তদন্তে সহযোগিতা করতে অস্বীকার করেছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, কেন দুই বোন বাড়ি ছেড়ে বেরিয়ে গিয়েছিল, তা তাঁদের জানা নেই। বিষয়টি আত্মহত্যা কি না তা নিয়েও মুখ খুলতে রাজি হননি মৃতাদের পরিবারের সদস্যেরা। বিষয়টি বিস্তারিত ভাবে খতিয়ে দেখতে ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement