Viral Video

‘২০-তে ২০ কেন পাইনি?’ দু’নম্বর কম পেয়ে গণিত শিক্ষিকাকে ক্লাসেই মারধর ১৭ বছরের পড়ুয়ার, ভাইরাল ভিডিয়ো

গত ৫ অগস্ট মধ্য তাইল্যান্ডের উথাই থানি প্রদেশের একটি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ১৭ বছর বয়সি এক ছাত্র গণিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল।

Advertisement

আনন্দবাজার ডট কম ডেস্ক

শেষ আপডেট: ১৩ অগস্ট ২০২৫ ১০:১৭
Share:

ছবি: এক্স থেকে নেওয়া।

ভেবেছিল পরীক্ষায় পুরো নম্বরই পাবে। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা গেল দু’নম্বর কম পেয়েছে সে। রেগে গিয়ে গণিত শিক্ষিকাকে শ্রেণিকক্ষেই মারধর করল ১৭ বছর বয়সি এক পড়ুয়া। শিক্ষিকার উপর কিল-চড়-লাথি-ঘুষি চালাল সে। দাঁড়িয়ে দেখল তার বাকি সহপাঠীরা। চাঞ্চল্যকর ঘটনাটি ঘটেছে তাইল্যান্ডে। সেই ঘটনার একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে ইতিমধ্যেই। ভাইরালও হয়েছে। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম

Advertisement

সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ৫ অগস্ট মধ্য উথাই থানি প্রদেশের একটি স্কুলে ঘটনাটি ঘটে। জানা গিয়েছে, ওই স্কুলের ১৭ বছর বয়সি এক ছাত্র গণিত পরীক্ষায় প্রাপ্ত নম্বর নিয়ে অসন্তুষ্ট ছিল। ভেবেছিল, ২০-র পরীক্ষায় ২০-ই পাবে সে। কিন্তু ফলপ্রকাশের পর দেখা যায় যে সে ১৮ পেয়েছে। রেগে যায় ওই ছাত্র। শিক্ষিকাকে বার বার পুনর্বিবেচনা করে দেখার অনুরোধ জানায়। কিন্তু শিক্ষিকা রাজি হননি। এর পরেই শিক্ষিকার দিকে তেড়ে যায় সে। চেয়ারে বসে থাকা শিক্ষিকার উপর প্রথমে এলোপাথাড়ি কিল-চড়-ঘুষি চালায়। পরে চেয়ার থেকে তুলে এনে লাথিও মারে শিক্ষিকাকে। বাকি পড়ুয়ারা অবাক হয়ে বিষয়টি দেখলেও কেউ পদক্ষেপ করেনি। পুরো ঘটনাটি ওই কক্ষে থাকা সিসি ক্যামেরায় ধরা পড়ে। সেই ভিডিয়োই প্রকাশ্যে এসেছে। জানা গিয়েছে, মারধরের কারণে ওই শিক্ষিকার চোখ, মাথা এবং পাঁজরে আঘাত লেগেছে। ওই ছাত্রকে বরখাস্ত করেছেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। তবে বিষয়টি নিয়ে পুলিশে অভিযোগ দায়ের হয়েছে কি না তা জানা যায়নি।

ভাইরাল ভিডিয়োটি পোস্ট করা হয়েছে ‘থাই ল ব্রো’ নামের একটি এক্স হ্যান্ডল থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। হইচই পড়েছে সমাজমাধ্যম জুড়ে। ওই পড়ুয়ার আচরণের সমালোচনা করে নিন্দায় সরব হয়েছেন কেউ কেউ। ভিডিয়োটি দেখার পর এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘লজ্জা হওয়া উচিত। স্কুল মন্দির আর শিক্ষক-শিক্ষিকারা পূজারি। এ ভাবে এক শিক্ষিকাকে মারধরের প্রতিবাদ জানাচ্ছি। ওই পড়ুয়ার বিরুদ্ধে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement