জিমে গিয়ে কী ধরনের শরীরচর্চায় চটজলদি মেদ ঝরতে পারে থেকে তিন-চার দিনের জন্য ঘুরতে যাওয়ার ট্র্যাভেল প্ল্যান— ধীরে ধীরে অনেকের ভরসার জায়গা হয়ে উঠছে চ্যাটজিপিটি। অনেকে তো আবার রোগ নির্ধারণের জন্য চিকিৎসকদের ছেড়ে চ্যাটজিপিটির পরামর্শ নিচ্ছেন। এআইয়ের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ-খাবার খাচ্ছেন। আর তা করতে গিয়েই বড় বিপদের মুখে পড়লেন এক তরুণ। কোনও রকমে মৃত্যুর মুখ থেকে বেঁচে ফিরলেন তিনি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, স্বাস্থ্যসচেতন ওই তরুণ মাঝেমধ্যেই স্বাস্থ্যসম্পর্কিত বিভিন্ন বিষয় নিয়ে চ্যাটজিপিটির পরামর্শ নিতেন। সম্প্রতি লবণের বিকল্প হিসাবে তিনি কী খেতে পারেন, তা চ্যাটজিপিটিকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তাঁর প্রশ্নের উত্তরে একাধিক বিকল্পের সন্ধান দেয় কৃত্রিম মেধা। তার মধ্যে একটি বিকল্প নাকি ছিল সোডিয়াম ব্রোমাইড, যা একটি বিষাক্ত যৌগ। জানা গিয়েছে, চ্যাটজিপিটির কথা শুনে টানা তিন মাস সোডিয়াম ব্রোমাইড খেয়েছিলেন তরুণ। তার পরেই ব্রোমাইডের বিষক্রিয়ার কারণে প্রাণসংশয় হয় তাঁর। হাসপাতালের আইসিইউয়ে ভর্তি করাতে হয় তাঁকে। তিন সপ্তাহের চিকিৎসার পর সুস্থ হয়ে ওঠেন তিনি।
ওয়াশিংটন বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা একটি রিপোর্টে ঘটনাটির কথা উল্লেখ করেছেন। সেই রিপোর্টে লেখা, লবণের নিরাপদ বিকল্প হিসাবে ওই তরুণকে সোডিয়াম ব্রোমাইড ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছিল চ্যাটজিপিটি। অনিদ্রা এবং উদ্বেগজনিত চিকিৎসার জন্য অতীতে ব্রোমাইড যৌগ ব্যবহার করা হলেও পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার কারণে এখন তা বন্ধ করা হয়েছে। বর্তমানে ব্রোমাইড মূলত পশুদের চিকিৎসা এবং কিছু শিল্পজাত পণ্যে ব্যাবহৃত হয়।
তরুণের কাহিনি সমাজমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসার পরেই হইচই পড়েছে। এআইয়ের ব্যবহার নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নেটাগরিকদের একাংশ। স্বাস্থ্য সম্পর্কিত পরামর্শের জন্য কৃত্রিম মেধার দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে উদ্বেগও প্রকাশ করেছেন বিশেষজ্ঞেরা।