ছবি: ইনস্টাগ্রাম থেকে নেওয়া।
নামেই তো সব আসে যায়! সারা জীবন যে নামে এক ব্যক্তি যাঁর পরিচয় বহন করবেন, সেই নাম বাছাই করাও চারটি খানি কথা নয়। সচরাচর সন্তানের জন্মের পর তার নামকরণের দায়িত্ব পড়ে বাবা-মা অথবা পরিবারের কোনও গুরুজনের উপর। এই দায়িত্বভারই নিজের পেশা হিসাবে গ্রহণ করেছেন এক তরুণী। শুধুমাত্র সদ্যোজাতদের নামকরণ করে ২৬ লক্ষ টাকা পর্যন্ত রোজগার করেন তিনি। এই অভিনব পেশা নির্বাচন করে তিনি যে কত সুখী রয়েছেন, তা সমাজমাধ্যমের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করে জানিয়েছেন সেই তরুণী।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, তরুণীর নাম টেলর হামফ্রে। ক্যালিফর্নিয়ার সান ফ্রান্সিসকোর বাসিন্দা তিনি। ২০১৮ সাল থেকে এক অভিনব পেশার সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন টেলর। সদ্যোজাতদের নামকরণ করেন তিনি। প্রথমে বিনামূল্যে নামকরণ করলেও পরে তা পেশা হিসাবে গ্রহণ করেন টেলর। কেরিয়ারের গোড়ার দিকে প্রতি নামকরণ পিছু ১০০ ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ ৮ হাজার ৮৭২ টাকা) করে ধার্য করতেন তরুণী। তার পর টেলরের পেশা সম্পর্কে এক ব্যবসায়ী উৎসাহ দেখান এবং তাঁকে পারিশ্রমিক বাড়ানোর পরামর্শ দেন।
সেই ব্যবসায়ীর কথা মেনে টেলর তাঁর পারিশ্রমিক বাড়িয়ে ফেলেছিলেন। তবে তার ফলে টেলরের আর্থিক ভাবে কোনও ক্ষতি হয়নি। বরং আখেরে লাভ হয়েছে টেলরের। গত সাত বছর ধরে নামকরণ করছেন টেলর। বর্তমানে তিনি নামকরণ পিছু ২০০ ডলার থেকে ৩০ হাজার ডলার (ভারতীয় মুদ্রায় যার পরিমাণ দাঁড়ায় ১৭ হাজার ৭৪৫ টাকা থেকে শুরু করে ২৬ লক্ষ ৬১ হাজার ৮৭০ টাকা) পর্যন্ত উপার্জন করেন। তবে পারিশ্রমিকের হেরফের থাকার কারণও রয়েছে।
নামকরণ করার পর শুধুমাত্র ইমেল মারফত পাঠিয়ে দিলে কম পারিশ্রমিক নেন টেলর। কিন্তু বংশপরিচয়-সহ পরিবারের আরও খুঁটিনাটি তথ্য জেনে সদ্যোজাতের নামকরণ করতে আরও বেশি পারিশ্রমিক ধার্য করেন তরুণী। নামকরণ করা হলেও জন্মের শংসাপত্র হাতে না পাওয়া পর্যন্ত সদ্যোজাতের নাম প্রকাশ্যে না জানানোর পরামর্শ দিয়েছেন শিল্পদ্যোগী টেলর।
গত সাত বছর ধরে অন্য ধরনের জীবিকা নির্বাহ করছেন বলে যারপরনাই খুশি তরুণী। সমাজমাধ্যমের পাতায় ভিডিয়ো পোস্ট করে সে কথাই জানান টেলর। সমাজমাধ্যমে নিজস্ব অনুরাগীমহলও গড়ে ফেলেছেন তিনি। ইতিমধ্যে ইনস্টাগ্রামের পাতায় তাঁর অনুগামীর সংখ্যা ৩০ হাজারের গণ্ডি পার করে ফেলেছে।