—প্রতীকী ছবি।
একটানা ১০ বছর ধরে অসুস্থ ছিলেন তরুণ। নানা হাসপাতালে ছুটেছেন। বহু অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শও নিয়েছেন। কিন্তু এত বছর ধরে তাঁর অসুখের আসল উৎস খুঁজে পাওয়া যায়নি। ১০ বছর পর তরুণের এই সমস্যার সমাধান করল কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা। স্বাস্থ্যপরীক্ষার ফলাফল জানাতেই তরুণের রোগ ধরে ফেলল চ্যাটজিপিটি। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এই ঘটনার উল্লেখ করে পোস্টও করেছিলেন তিনি (যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘আর/চ্যাটজিপিটি’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে রেডিটের পাতায় একটি পোস্ট করা হয়েছে। সেই পোস্টে উল্লেখ করা হয়েছে যে, এক তরুণ বহু বছর ধরে অসুস্থতায় ভুগছেন। নানা জায়গা থেকে চিকিৎসা করালেও তাঁর শারীরিক সমস্যা কোনও ভাবেই মিটছে না। অভিজ্ঞ চিকিৎসকদের কাছে পরামর্শও নিয়েছিলেন তিনি। তাতেও আখেরে লাভ হয়নি। প্রায় সব রকমের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করিয়ে ফেলেছিলেন তরুণ।
স্বাস্থ্যপরীক্ষার রিপোর্টের ছবি চ্যাটজিপিটিকে পাঠান তিনি। পাশাপাশি নিজের অসুস্থতার কথাও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার সঙ্গে আলোচনা করেন। সঙ্গে সঙ্গে এক বিরল রোগের কথা জানায় চ্যাটজিপিটি। বিশ্বের মোট জনসংখ্যার ৭ থেকে ১২ শতাংশ এই রোগের শিকার বলে মনে করা হয়। এমটিএইচএফআর নামের একটি জিন বিবর্তনজনিত রোগ তরুণের শরীরে বাসা বেঁধেছে বলে আশঙ্কা করে চ্যাটজিপিটি।
দেরি না করে চিকিৎসকের সঙ্গে দেখা করে চ্যাটজিপিটির অনুমান প্রসঙ্গে জানান তরুণ। পরে চিকিৎসকও তাতে সম্মতি জানান। সেই রোগ নির্ণয়ের জন্য যাবতীয় স্বাস্থ্যপরীক্ষা করানোর নির্দেশও দেন তিনি। তরুণের দাবি, ১০ বছর ধরে ভোগার পর শেষমেশ চ্যাটজিপিটির হাতে সেই রোগ ধরা পড়ল।
পরে অবশ্য রেডিটের পাতা থেকে সেই পোস্ট মুছেও দিয়েছেন তরুণ। আর এখানেই সন্দেহ দানা বেঁধেছে। নেটব্যবহারকারীদের একাংশের দাবি, সত্যি কথা বলছেন না ওই তরুণ। বিষয়টি সত্যি হলে তিনি পোস্ট মুছে ফেলতেন না বলেও দাবি করেছেন তাঁরা।