ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
রেস্তরাঁর খোলা ছাদে বসে খাওয়াদাওয়া সারছিলেন ক্রেতারা। কিন্তু ভোজনের পাশাপাশি তাঁদের নজর ছিল রাতের আকাশের দিকে। কেউ কেউ আবার খাওয়াদাওয়া ছেড়ে মোবাইলের ক্যামেরা অন করে ভিডিয়ো করতে শুরু করে দিয়েছেন। আকাশের এক দিক থেকে অন্য দিকে আগুনের ফুলকি ছুটে যাচ্ছে। সেই দৃশ্যই দেখছিলেন রেস্তরাঁয় আসা ক্রেতারা। কিন্তু এ কোনও তারাবাজির প্রদর্শনী নয়। ইজ়রায়েল এবং ইরানের ক্ষেপণাস্ত্রের লড়াই রেস্তরাঁর ছাদে বসে দেখছিলেন সকলে। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘ভিউ_আলকুদ্স’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে ইনস্টাগ্রামের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, নৈশভোজ সারতে রেস্তরাঁর খোলা ছাদে বসে রয়েছেন তরুণ-তরুণীরা। মনের আনন্দে খাওয়াদাওয়া করছেন তাঁরা। কিন্তু তাঁদের সকলের নজর আকাশের দিকে। এক দিক থেকে অন্য দিকে আগুনের ফুলকি ছুটে যাচ্ছে। তার প্রত্যুত্তরে অন্য দিক থেকেও ছুটে আসছে আগুনের ফুলকি। এ কোনও তারাবাজির প্রদর্শনী নয়।
ইজ়রায়েল এবং ইরান একে অপরকে লক্ষ্য করে ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়ছে। সেই দৃশ্যই রেস্তরাঁর ছাদে বসে দেখছেন সকলে। এই ঘটনাটি সম্প্রতি জর্ডনের একটি রেস্তরাঁয় ঘটেছে। ভৌগোলিক অবস্থান অনুযায়ী, জর্ডনের অবস্থান ইজ়রায়েল এবং ইরানের মাঝে। তাই দু’তরফের ক্ষেপণাস্ত্র হামলাই আকাশের দিকে তাকালে দেখতে পাচ্ছেন জর্ডনবাসীরা। ভিডিয়োটি সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়তেই ধেয়ে এসেছে কটাক্ষের বন্যা। এক জন নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘দুই দেশের মধ্যে এমন ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি। তার মধ্যে বিনোদন কী করে খুঁজে পাচ্ছেন?’’
বিগত কয়েক দশক ধরেই ইজ়রায়েল এবং ইরানের মধ্যে ছায়াযুদ্ধ চলছে। সম্প্রতি দুই দেশ যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। একে অপরের বিরুদ্ধে অনবরত হামলা চালিয়েছে তারা। অবশেষে ইরান এবং ইজ়রায়েলের মধ্যে ১২ দিন ধরে চলা সংঘাতে বিরতি ঘোষণা করা হয়েছে।