ছবি: ভিডিয়ো থেকে নেওয়া।
পুলিশের কড়া সতর্কতা থাকতেও সেই বারণ শোনেননি দুই তরুণ। দামি গাড়ি নিয়ে নেমে পড়েছিলেন সমুদ্রসৈকতে। তার পর সমুদ্রের ধারে তাঁদের শখের মার্সিডিজ় বেঞ্জ নিয়ে স্টান্ট দেখাতে গিয়েই বিপদে পড়লেন তাঁরা। সমুদ্রের বালিতে চাকা গেল আটকে। ক্রমশ বালির ভিতরেই ঢুকতে শুরু করল গাড়িটি।
সঙ্গে সঙ্গে গাড়ি থেকে নেমে পড়লেন তাঁরা। লক্ষ করলেন, সমুদ্রসৈকতের ভেজা বালিতে আটকে গিয়েছে তাঁদের দামি গাড়ি। পরিস্থিতি দেখে ঝিরিঝিরি বৃষ্টিতে মাথায় হাত দিয়ে দাঁড়িয়ে রইলেন ওই দুই তরুণ। সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় এমনই একটি ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে (যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)।
‘কুমার মণীশ’ নামের অ্যাকাউন্ট থেকে এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলের পাতায় একটি ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে। সেই ভিডিয়োয় দেখা গিয়েছে যে, একটি মার্সিডিজ় বেঞ্জের চাকাগুলি সমুদ্রতটের বালিতে আটকে গিয়েছে। এমনকি, গাড়িটি প্রায় বনেট পর্যন্ত বালিতে ঢাকা। এক নজরে দেখে মনে হচ্ছে যে, সমুদ্রসৈকতের বালি সেই গাড়িটিকে ‘গিলে খাওয়ার’ উপক্রম করছে। সোমবার এই ঘটনাটি গুজরাতের সুরাটের ডুমাস সমুদ্রসৈকতে ঘটেছে।
সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, গাড়ি নিয়ে সমুদ্রসৈকতে নামার নিষেধাজ্ঞা ছিল পুলিশের। তবুও কোনও ভাবে পুলিশি নজর এড়িয়ে মার্সিডিজ় চালিয়ে সমুদ্রসৈকতে নেমে পড়েন দুই তরুণ। বৃষ্টি মাথায় নিয়ে সমুদ্র দেখতে গিয়েছিলেন তাঁরা। কিন্তু তাতেই হল বিপদ। সমুদ্রসৈকতে নেমে গাড়ি নিয়ে ‘স্টান্ট’ দেখানোর সময় ঘটল অঘটন। ঢেউ আসার পর গাড়ির চাকা ক্রমশ বালির মধ্যে ঢুকতে শুরু করে তাঁদের।
তাড়াহুড়ো করে গাড়ি থেকে নেমে তাঁরা দেখেন যে, গাড়ির চাকাগুলি একেবারে বালির তলায় আটকে গিয়েছে। গাড়িটি প্রায় বনেট পর্যন্ত বালির ভিতর ঢুকে পড়েছে। গাড়িটি কী ভাবে বার করবেন, বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে সেই চিন্তা করছেন দুই তরুণ। ভিডিয়োটি ছড়িয়ে পড়তে এক নেটাগরিক কটাক্ষ করে লিখেছেন, ‘‘বেশ হয়েছে। পুলিশের নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এত পাকামি করতে কে বলেছিল? উপযুক্ত শাস্তি।’’