ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
ব্যস্ত রাস্তায় হাত ছেড়ে বাইক চালাচ্ছিলেন। দাঁড়িয়েও পড়েছিলেন চলন্ত বাইকে! সেই কেরামতির ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসতেই বিপাকে পড়েন তরুণী। ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনের অভিযোগে মোটা টাকা চালান কাটে পুলিশ। তবে তাতেও শিক্ষা হল না। আবারও একই ভাবে বাইক চালিয়ে এবং সেই ভিডিয়ো পোস্ট করে হইচই ফেললেন তরুণী। তাঁর কেরামতি করে বাইক চালানোর সেই সব ভিডিয়ো ইতিমধ্যেই প্রকাশ্যে এসেছে। ভাইরাল হয়েছে ভিডিয়োটি। যদিও সেই ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম। কোথায় এবং কবে ভিডিয়োগুলি ক্যামেরাবন্দি করা হয়েছে তা-ও স্পষ্ট হয়নি।
সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ১ অগস্ট থেকে ওই তরুণী ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে লাগাতার বাইক নিয়ে কেরামতির রিল পোস্ট করছিলেন। বেশির ভাগ ভিডিয়োতেই চলন্ত বাইকে বিপজ্জনক ভাবে কায়দাবাজি করতে দেখা গিয়েছে তাঁকে। তার মধ্যেই একটি ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পর পুলিশের নজরে আসে বিষয়টি। তাঁকে ২০ হাজার টাকার জরিমানা করা হয়।
তবে এর পরেও তরুণীর বাইক-কাণ্ড থামেনি। উল্টে, জরিমানা হওয়ার পর সেই চালানের ছবি দিয়ে নতুন একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেন তিনি। সেই ভিডিয়োয় তিনি সাফ জানিয়ে দেন, ২০ হাজার কেন, ৪০ হাজার টাকা জরিমানা দিতে হলেও তিনি দেবেন। কিন্তু বাইক নিয়ে কেরামতি করা ছাড়বেন না। সেই ভিডিয়োও প্রকাশ্যে এসেছে।
ভিডিয়ো পোস্ট করা হয়েছে ‘_বৈশু_যাদব_২৪’ নামের ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট থেকে। ইতিমধ্যেই বহু মানুষ দেখেছেন সেই ভিডিয়ো। লাইক এবং কমেন্টের বন্যা বয়ে গিয়েছে। কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন নেটাগরিকেরা। শুরু হয়েছে সমালোচনা। এক নেটাগরিক লিখেছেন, ‘‘জরিমানা করার অর্থ ট্রাফিক আইন লঙ্ঘন থেকে মানুষ যেন বিরত থাকে। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক যে কিছু মানুষের তার পরেও শিক্ষা হয় না। তরুণীর বিরুদ্ধে আও কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’