ছবি: এ আই।
সাত বছর আগে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে গিয়েছিলেন স্বামী। ফোন ঘাঁটতে ঘাঁটতে হঠাৎ করেই ‘নিঁখোজ’ স্বামীর খোঁজ পেলেন স্ত্রী। অন্য এক তরুণীর সঙ্গে ইনস্টাগ্রামের রিল ভিডিয়োয় খুঁজে পান স্বামীকে। সেই ঘটনার পর স্বামীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের হারদোইতে। ২০১৮ সাল থেকে নিখোঁজ ছিলেন তরুণ।
সংবাদ প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ৩২ বছর বয়সি বাবলুকে খুঁজে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। স্ত্রীর অভিযোগ পেয়ে পুলিশ তদন্ত করে জানতে পারে বাবলু লুধিয়ানায় রয়েছে। সেখানে সে আরও একটি বিয়ে করেছে। ২০১৭ সালে শীলু নামের এক তরুণীর সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন বাবলু। এক বছরের মধ্যেই তাঁদের সম্পর্ক তিক্ত হয়ে ওঠে। বিয়ের যৌতুক নিয়ে দম্পতির মধ্যে বিবাদ শুরু হয়। একটি সোনার হার ও আংটির জন্য শীলুকে হয়রানি করা হয়েছিল। দাবি পূরণ না করতে পারায় তাঁকে শ্বশুরবাড়ি থেকে বার করে দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি। এর পর, শীলুর পরিবার যৌতুক নিয়ে হয়রানির মামলা দায়ের করে।
মামলার তদন্ত চলাকালীন, বাবলু রহস্যজনক ভাবে নিখোঁজ হন। তাঁর বাবা ২০১৮ সালের ২০ এপ্রিল থানায় অভিযোগ দায়ের করে। পুলিশ বহু অনুসন্ধান করেও সন্ধান পায়নি। এর পর বাবলুর পরিবার শীলু এবং তাঁর আত্মীয়দের বিরুদ্ধে বাবলুকে হত্যা করে দেহ গুম করার অভিযোগ তোলে।
বছরের পর বছর ধরে শীলু আশা নিয়ে বেঁচেছিলেন যে তিনি তাঁর স্বামীকে ঠিক খুঁজে পাবেন। অবশেষে তিনি ইনস্টাগ্রামের একটি রিলে স্বামীকে এক অন্য মহিলার সঙ্গে দেখতে পান। চিনতে পেরে থানায় ছুটে যান শীলু। পুলিশের তদন্তে জানা যায় যে বাবলু নিখোঁজের নাটক সাজিয়ে লুধিয়ানায় চলে যান। যেখানে তিনি অন্য এক মহিলাকে বিয়ে করেন। নতুন জীবন শুরু করেন। বৈবাহিক সম্পর্কে প্রতারণা এবং যৌতুকের জন্য নির্যাতন সম্পর্কিত আইনি ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বাবলুর বিরুদ্ধে।