Lok Sabha Election 2019

সমঝোতার জন্য ২৪ ঘণ্টা সময় কংগ্রেসকে, ৪টে বাদে সব আসনে প্রার্থী ঘোষণা বামেদের

এর আগে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বামেরা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৯ মার্চ ২০১৯ ১৭:৪৯
Share:

বিমান বসু।—ফাইল চিত্র।

কংগ্রেসের জন্য সমঝোতার রাস্তা খোলা রেখেই দ্বিতীয় দফার প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করল বামফ্রন্ট। গতবার কংগ্রেসের জেতা ৪টি আসন ফাঁকা রেখেই মঙ্গলবার বিকেলে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করলেন বামফ্রন্ট চেয়ারম্যান বিমান বসু। তবে কংগ্রেসকে ২৪ ঘণ্টা সময়ও দিয়েছেন তিনি। বুধবার বিকেল ৪টের মধ্যে কোনও সুরাহা বার না হলে, বাকি চারটি আসনেও প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করে দেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন তিনি।

Advertisement

এর আগে রাজ্যের ৪২টি আসনের মধ্যে ২৫টিতে প্রার্থী দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছিল বামেরা। বাকি ১৭টি আসনে প্রার্থী ঘোষণা হওয়ার কথা ছিল সোমবার। শেষমেশ তা হয়নি। এ দিন বিকেলে সাংবাদিক বৈঠক করে বিমান বসুগতবার কংগ্রেসের জেতা উত্তর মালদহ, দক্ষিণ মালদহ, জঙ্গিপুর এবং বহরমপুর— এই চারটি আসন ছেড়ে বাকি ১৩টি আসনে প্রার্থীতালিকা ঘোষণা করেন।

বিমানবাবু জানান, মুর্শিদাবাদ থেকে এ বার তাঁদের প্রার্থী হচ্ছেন মহম্মদ বদরোজ্জা খান। কৃষ্ণনগর থেকে নির্বাচনে দাঁড়াচ্ছেন শান্তনু ঝা। ব্যারাকপুর থেকে দাঁড় করানো হচ্ছে গার্গী চট্টোপাধ্যায়কে। বসিরহাটে শাসকদল তৃণমূলের প্রার্থী নূসরত জাহানের প্রতিপক্ষ হিসাবে দাঁড় করানো হচ্ছে পল্লব সেনগুপ্তকে। তৃণমূলের আর এক তারকা প্রার্থী মিমি চক্রবর্তীর বিরুদ্ধে যাদবপুরে দাঁড়াচ্ছেন বিকাশরঞ্জন ভট্টাচার্য।

Advertisement

গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।

আরও পড়ুন: আর্থিক সঙ্কটে জেট, রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্কগুলিকে এগিয়ে আসতে বলল সরকার​

আরও পড়ুন: দমদমে চোর সন্দেহে পিটিয়ে যুবক খুন! অভিযোগ স্থানীয় ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে​

তবে কংগ্রেসের তরফে এ দিনও আসন সমঝোতার ইঙ্গিত মেলেনি। সমঝোতার কোনও সম্ভাবনা রয়েছে কিনা জানতে চাইলে তা উড়িয়ে দেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি সোমেন মিত্র। এ দিন তিনি বলেন, ‘‘বামেদের প্রস্তাব কোনওভাবেই মেনে নেওয়া সম্ভব নয় আমাদের পক্ষে। বীরভূমে কাকে দাঁড় করানো উচিত, দার্জিলিঙে কাকে দাঁড় করানো উচিত, সব ওঁরা ঠিক করে দেবেন? তা হতে পারে না।’’ তিনি আরও বলেন,‘‘পাশ করতে গেলে তিরিশ নম্বরের দরকার হয়। সেটা বোধহয় ভুলে যাচ্ছেন ওঁরা। তাই আঠাশ পেয়েই লাফাচ্ছেন। বাকি দু’নম্বরের জন্য যে আমাদের দরকার, সেটা বেমালুম ভুলে যাচ্ছেন। উল্টে অবাস্তব শর্ত চাপাচ্ছেন।’’ সোমেনের কথায়,‘‘সমঝোতায় যাব না বলে আগেই জানিয়ে দিয়েছিলাম আমরা। কোনও সময়সীমার দরকার নেই আমাদের। আমার বাড়িতে কে থাকবেন, আর কে থাকবেন না, তা ওঁরা ঠিক করে দিতে পারেন না।’’

সোমেনবাবুর কথার পরিপ্রেক্ষিতে সিপিএম নেতা সুজন চক্রবর্তী এ দিন বলেন, ‘‘আসন ভাগাভাগি করতে গিয়ে সম্মান-অসম্মান নিয়ে ভাবার সময় নয় এটা। এই মুহূর্তে দেশে সবচেয়ে বেশি অসম্মানিত সাধারণ মানুষ। বিজেপি এবং তৃণমূলকে হটিয়ে তাঁদের রেহাই দেওয়াই লক্ষ্য হওয়া উচিত। তাই কাউকে অনুরোধ করিনি আমরা। বরং মানুষের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকেই চারটি আসন ফাঁকা রেখেছি।’’ বুধবার বিকেলের মধ্যে কংগ্রেসের তরফে ইতিবাচক পদক্ষেপ না করা হলে বাকি চারটি আসনেও প্রার্থী ঘোষণা করে দেবেন বলেও জানান সুজনবাবু।

(বাংলার রাজনীতি, বাংলার শিক্ষা, বাংলার অর্থনীতি, বাংলার সংস্কৃতি, বাংলার স্বাস্থ্য, বাংলার আবহাওয়া -পশ্চিমবঙ্গের সব টাটকা খব আমাদের রাজ্য বিভাগে।)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement