দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছে জেট এয়ারওয়েজ।—ফাইল চিত্র।
দেউলিয়া হওয়ার পথে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান সংস্থা জেট এয়ারওয়েজ। সেই নিয়ে সংস্থার আধিকারিকদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের ডাক দিল কেন্দ্রীয় সরকার। এ ব্যাপারে সংস্থার কাছে সবিস্তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখানে বিমানের উড়ান বন্ধ রাখা, সমস্ত অ্যাডভান্স বুকিং বাতিল করা এবং ঋণদাতাদের টাকা ফেরত দেওয়া নিয়ে আলোচনা হবে। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে বিমান পরিবহণ ব্যবস্থার নজরদারি সংস্থা ডিজিসিএ-র কাছেও। এর মধ্যে, আর্থিক সঙ্কট থেকে জেট এয়ারওয়েজকে বার করে আনতে বিভিন্ন রাষ্ট্রায়ত্ত ব্যাঙ্ককে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তাদের সঙ্গে আলোচনা চলছে বলে জানা গিয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে টুইটারে বৈঠকের কথা জানান অসামরিক বিমান পরিবহণ মন্ত্রী সুরেশ প্রভু। তিনি জানান, ‘জেট এয়ারওয়েজ কর্তাদের সঙ্গে জরুরি বৈঠকের ডাক দিয়েছি। অ্যাডভান্স বুকিং বাতিল, উড়ান বন্ধ, টাকা ফেরত দেওয়া এবং নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে সেখানে আলোচনা হবে। এ ব্যাপারে জেট কর্তৃপক্ষ এবং ডিজিসিএ-র কাছ থেকে সবিস্তার রিপোর্টও চেয়ে পাঠিয়েছি।’
দেনার দায়ে দীর্ঘদিন ধরেই ধুঁকছিল জেট এয়ারওয়েজ। তার উপর জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি এবং ডলার প্রতি টাকার দামের পতনে প্রতিযোগিতায় ক্রমশ পিছিয়ে পড়ছিল তারা। পাইলট এবং ইঞ্জিনিয়ারদেরও নিয়মিত বেতন দিতে পারছিল না। তার জেরে সম্প্রতি বেশিরভাগ বিমান বসিয়ে দিতে বাধ্য হয় তারা। বিভিন্ন সংস্থার থেকে বিমান ভাড়া করে পরিষেবা দেয় জেট এয়ার ওয়েজ। পাওনা না মেটাতে পারায় এই সিদ্ধান্ত নিতে হয় নরেশ গয়ালের সংস্থাকে।
Directed Secretary, @MoCA_GoI to hold an emergency meeting on grounding of flights by Jet Airways, Advance bookings, Cancellation, Refunds and Safety issues, if any. Asked him to get a report on Jet compliance issues immediately from DGCA. @jayantsinha
— Suresh Prabhu (@sureshpprabhu) March 19, 2019
সুরেশ প্রভুর টুইট।
আরও পড়ুন: দমদমে চোর সন্দেহে পিটিয়ে যুবক খুন! অভিযোগ স্থানীয় ক্লাব সদস্যদের বিরুদ্ধে
১৯৯২ সালে জেট এয়ারওয়েজের প্রতিষ্ঠা হয়। উড়ান পরিষেবা দিতে শুরু করে ১৯৯৩ সাল থেকে। গত পঁচিশ বছরে দেশের দ্বিতীয় বৃহত্তম বিমান পরিষেবা সংস্থা হিসাবে উঠে এসেছে তারা। কিন্তু দেনার দায়ে গত কয়েক বছর ধরেই ধুঁকছিল সংস্থাটি। এই মুহূর্তে বাজারে ১০০ কোটি মার্কিন ডলার দেনা তাদের। এই সঙ্কট থেকে বেরিয়ে আসতে সংস্থার বৃহত্তম অংশীদার এতিহাদ এয়ারওয়েজের সঙ্গেও কথা চলছিল তাদের। তবে কোনও সুরাহা হয়নি।
(মূল্যবৃদ্ধি, মুদ্রাস্ফীতি, পেট্রোপণ্যের দাম বৃদ্ধি - অর্থনীতির সব খবর বাংলায় পেয়ে যান আমাদের ব্যবসা বিভাগে।)
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy