দশমীতে জমজমাট টাকি, ইছামতীতে বিসর্জন দেখতে দুই পাড়ে দুই দেশের মানুষের ঢল!

প্রতিমা নিরঞ্জনের এই প্রথার সঙ্গে জড়িয়ে রয়েছে দুই দেশের মানুষেরই আবেগ!

আনন্দ উৎসব ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২৫ ২০:২১

Share: Save:

০১ ১০

বিজয়ার বিকেল। উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ইছামতী নদীর দুই পাড় বরাবর শুরু হয়ে গিয়েছে দুর্গা প্রতিমার বিসর্জন। নৌকায় ভাসান দেখতে হাজির হয়েছেন দুই পাড়ের, দুই দেশের অসংখ্য মানুষ।

০২ ১০

এই নদী শুধু জলধারা নয়, এটি আবেগ ও ঐতিহ্যের এক সেতু! ইছামতী নদীর মাঝামাঝি রয়েছে আন্তর্জাতিক সীমান্ত। দুই দেশের হাজার হাজার মানুষ নদীর দু'পাড় থেকে এখানকার বিসর্জন দেখতে আসেন, যা টাকির এই প্রতিমা নিরঞ্জনকে এক অনন্য আন্তর্জাতিক পরিচিতি দেয়।

০৩ ১০

বিসর্জনের মূল পর্বে সারি সারি নৌকা প্রতিমা নিয়ে ঘাটের দিক থেকে এগিয়ে যায়। ঐতিহ্য মেনে, নৌকাই এখানকার ভাসানের প্রধান বাহন। নদীর জলে তখন প্রতিমার ছায়া, আর মানুষের চোখে আনন্দ-বিষাদের আবেগ!

০৪ ১০

বেদনার হলেও বছরভর এই দিনটির জন্যই যেন দুই দেশের মানুষ একসঙ্গে ইছামতী নদীর দিকে তাকিয়ে থাকেন। মনের এই মিলই ইছামতীর ভাসানের মূল আকর্ষণ!

০৫ ১০

যে ভাবে প্রতিমা নিরঞ্জন হয়, তা দেখলে মনে হয় যেন নদীবক্ষে কোনও কার্নিভ্যাল চলছে! নদীতে প্রতিমা বিসর্জনের এমন 'শোভাযাত্রা' সত্যিই বিরল!

০৬ ১০

'আসছে বছর আবার হবে!' ধ্বনিতে শুরু হয় প্রতিমা বিসর্জনের পালা। একে একে নৌকার পাটাতন থেকে জলের গভীরে ডুব দেন মৃন্ময়ী দেবী দুর্গা! তৈরি হয় এক আবেগঘন মুহূর্ত।

০৭ ১০

এক সময়ে বেলা গড়িয়ে সন্ধে নামে। নদীর জলে ভাসতে থাকা নৌকা আর সন্ধ্যার আলো মিলেমিশে এক মায়াবী পরিবেশ সৃষ্টি করে ইছামতীতে।

০৮ ১০

বিসর্জনের মুহূর্তে, ঢাকের বাদ্যিতে, বিষাদের সুর যেমন থাকে, তেমনই থাকে বিজয়ার উল্লাস। টাকির এই ভাসান শুধু প্রথা নয়, এটি সংস্কৃতির এক শক্তিশালী বন্ধন।

০৯ ১০

বিসর্জনের শেষে অনেক সময়ে দেখা যায়, নৌকোতেই কেউ কেউ একে অপরকে বিজয়ার মিষ্টিমুখ করাচ্ছেন! যা এই পরিবেশকে আরও হৃদয়গ্রাহী করে তোলে।

১০ ১০

ভাসান শেষ হলে ইছামতীর জলও শান্ত হয়। দুই পাড়ে, দুই দেশের মানুষের মধ্যেই শুরু হয় ফের একটা বছরের অপেক্ষা! আরও একটা বিজয়ার দিকে তাকিয়ে সবাই বলে, আসছে বছর আবার হবে! ( ‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’)। (এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ)।