রন্ধন শিল্প। ঠাকুমা-দিদিমার হাতে মোচার ঘণ্ট নারকেল কোরা কিংবা কচু বাটায় মিশে যাওয়া সর্ষের মিশেলেই যেন প্রেম জড়িয়ে থাকে। পুজো প্যান্ডেলে আচমকা চোখে চোখ পড়ে যাওয়ার মতোই ভাল লাগা যেন। তবে খাঁটি নিরামিষ রান্না কিন্তু বেশ কঠিন। মায়ের হাতে লাউয়ের পায়েস কিংবা কুমড়োর বীজের বাটা অথবা চাপড় ঘণ্ট, এ সব পদ বিরিয়ানি কিংবা মাটন রেজালাকে গোল দিতে পারে নিঃসন্দেহে। কিন্তু রেস্তরাঁ গিয়ে নিরামিষ?
এটা ঠিক যে, মাছে-ভাতে বাঙালিদের মধ্যে কেউ কেউ দুর্গা পুজোর দিনে নিরামিষ খান, মুখ একটু ভার হয়। সেই লুচি তরকারি বা পনীর? বিশেষ করে ষষ্ঠী কিংবা অষ্টমীতে অনেকেই চান নিরামিষ খেতে। কেউ বা নানা কারণে রেড মিট বা ডিম ছেড়েছেন। নিরামিষ রান্নায় মজেছেন আজকাল। বিয়েবাড়িতে ভেজ কাউন্টারে যাঁরা খাবার খান, তাঁদের কথা ভুলে গেলে চলবে কেন? বাইপাসের ধারে ‘কলকাতা সেন্টার ফর ক্রিয়েটিভিটি’-র দ্বিতীয় তলেই ‘গ্রেস’ রেস্তরাঁ নিয়ে এসেছে এমনই সম্ভার। সম্পূর্ণ নিরামিষ খাবারের আয়োজন রয়েছে এই রেস্তরাঁয়। তবে পেঁয়াজ কিংবা রসুন কিন্তু বাদ পড়েনি এই রেস্তরাঁর রান্নায়। তাই এই নিরামিষকে আধুনিক ভারতীয় নিরামিষ বলে উল্লেখ করেন কর্তৃপক্ষ।
এই রেস্তরাঁর খাবার পরিবেশনের ধরনেও শিল্প ও সৃজনশীলতার ছাপ রয়েছে। খাবার পরিবেশনেও তাই অভিনবত্বের ছাপ। আধুনিক ভারতীয় ফিউশন খাবার এবং নিরামিষ খাবারের মাধ্যমেই ক্রেতাদের মন জয় করা উদ্দেশ্য তাঁদের।