প্রতীকী ছবি।
বাঙালির জীবনে ঠাকুরবাড়ির ছোঁয়া শুধুমাত্র গান বা সাহিত্যের মধ্যে কখনওই সীমিত ছিল না। বাঙালি জীবনে বিভিন্ন দিক থেকে প্রভাব ফেলেছে ঠাকুরবাড়ির সংস্কৃতি। বাদ পরেনি রান্নাবান্নাও।
এমন অনেক পদ আছে, যেগুলি সব বাঙালিরই অতি পরিচিত। তবে ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলে পৌঁছে তার রূপ বদলে গিয়েছিল। সে সব রান্নার গল্প কথা বাঙালি জীবনে ছড়িয়ে পড়েছিল ইন্দিরাদেবীর কথায় কথায়।
এ বার পুজোর সময়ে যদি নিজের বাড়িতে ঠাকুরবাড়ির আমেজ নিয়ে আসা যায়, তবে কেমন হয়? কেমন রান্না করে দেখা যেতে পারে ভাবছেন? রইল ঠাকুরবাড়ির বিশেষ দু’টি পদের গল্প। নিজেরাই চেখে দেখুন, পটল এবং মাংসের পরিচিত রান্না কী ভাব রূপ বদলে ফেলেছিল ঠাকুরবাড়ির হেঁশেলে পৌঁছে।
আলু পটলের ডালনা
আলু এবং পটল বড় বড় করে কেটে ভাল করে ভেজে নিন। তার পর একটি পাত্রে ঘি নিয়ে সাদা জিরে, তেজপাতা, কাঁচা মরিচ, ধনে আর জিরে মরিচ বাটা নিয়ে নুন এবং চিনি দিয়ে আবার ভাজুন। মাঝেমাঝে জল অল্প পরিমাণে দিতে পারেন। ভাল মতো কষা হয়ে গেলে সেদ্ধ করার জন্য জল দিয়ে দিন। উপরে কিছুটা ঘি ছড়িয়ে দিয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।
পোস্ত দিয়ে মাংস
পাঁঠার মাংসে পেঁয়াজ, রসুন আর আদা বাটা দিয়ে ভাল করে মাখিয়ে রাখুন। একটি পাত্রে তেল নিয়ে গোটা গরম মশলা, শাহি জিরে বাটা, আর পোস্ত বাটা দিয়ে দিন। মশলা ঠিক মতো কষা হয়ে গেলে মাংস দিন। অল্প জল দিয়ে সেদ্ধ করুন। মশলা আর মাংসের টুকরোগুলি ভাল মতো একসঙ্গে হয়ে গেলে সেদ্ধ হয়ে আসার পর নামিয়ে নিন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy