শরতের আগমন মানেই বাঙালি বাড়িতে এক ভিন্ন মেজাজ। পুজোর গন্ধের সঙ্গে সঙ্গে ভূরিভোজের আয়োজন তো শুরু হয়েই যায়, ভিড় জমে মিষ্টির দোকানে। বিরিয়ানির পরে ভাঁড় ভর্তি ঠান্ডা ফিরনি—শহরের বহু মানুষরই পছন্দের তালিকায় শীর্ষে থাকে। কলকাতার মুঘলাই রান্নার টেবিল থেকে যে মিষ্টি ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে, সেটাই ফিরনি। সহজ উপকরণ, অথচ দুধে ভিজে থাকা নরম চালের দানা আর এলাচ-জাফরানের গন্ধে একে বারে ভিন্ন মেজাজ তৈরি করে এই মিষ্টি।
আমিনিয়া বা আর্সালানের মতো রেস্তোরাঁর ফিরনির স্বাদ যে রহস্যে মোড়া, তা আসলে মোটেও কঠিন নয়। দরকার শুধু কিছু হাতের কাছে থাকা উপকরণ—আতপ চালের হালকা দানাদার গুঁড়ো, আর ঘন ফুল-ফ্যাট দুধ। চাল ভিজিয়ে, শুকিয়ে, হালকা গুঁড়ো করে নেওয়াটাই ফিরনি তৈরির প্রথম ধাপ। অনেকে চাল বেশি ধুয়ে ফেলেন। মনে রাখবেন, দু’বার ধোয়াই যথেষ্ট।
চাল গুঁড়োর সাথে এক কাপ ঠান্ডা দুধের মিশ্রণ তৈরি করাই আসল কৌশল—গরম দুধে চালের গুঁড়ো দিলেই দলা পাকানোর ভয় থাকে, আর সেই দলা কিন্তু ফিরনির মুঘলাই 'গ্রেনি' টেক্সচারটিকে নষ্ট করে দেয়। ভারী তলযুক্ত পাত্রে দুধ যখন ঘন হতে শুরু করবে, তখন সেই মিশ্রণটুকু ঢেলে দিন।
এর পরেই ম্যাজিক! মাড় ফেল দিলে মিশ্রণটি ঘন হয়ে আসবে। সামান্য চিনি আর এক চিমটি লবণ যোগ করুন এ বার, এই একটু লবণ মিষ্টির স্বাদকে আরও বাড়িয়ে দেয়। স্বাদের জন্য হয় জাফরান, নয়তো কেওড়ার জলের সুবাসই যথেষ্ট। দু’টো এক সাথে না ব্যবহার করাই বুদ্ধিমানের কাজ; এতে স্বাদটা এক্কে বারে ঠিক থাকে।
যখন দেখবেন মিশ্রণটি থকথকে হয়ে আসছে, তখনই আঁঁচ বন্ধ করুন—এর থেকে ঘন করলে ফ্রিজে রাখার পর অতিরিক্ত শক্ত হয়ে যাবে। এর পর নতুন মাটির ভাঁড়ে এটি ঢেলে, প্লাস্টিক মুড়িয়ে সোজা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দিন। ভাঁড় কিন্তু আগে আধ ঘণ্টা জলে ভিজিয়ে নিতে হবে, না হলে অতিরিক্ত আর্দ্রতা শুষে নেবে। ৮ থেকে ২৪ ঘণ্টা রাখার পর পেস্তা, বাদাম আর শুকনো গোলাপের পাপড়ি ছড়িয়ে পরিবেশন করুন।
এখন যদি কেউ দ্রুত ফিরনি চান? মাত্র ১৫-২০ মিনিটেও বানানো যায়, চালের পরিমাণ কমিয়ে দিলেই হল! আবার স্বাস্থ্যসচেতনদের জন্য চিনি বদলে খেজুর গুড় বা অন্য কোনও বিকল্প ব্যবহার করলেও স্বাদ অটুট থাকে। এই পুজোয় তাই ভাঁড়ের ফিরনি হোক বা ঝটপট বাটির, আড্ডা ও মিষ্টিমুখের ছন্দ যেন কোনও ভাবেই না কাটে!
‘আনন্দ উৎসব ২০২৫’-এর সাফল্যের নেপথ্যে রয়েছেন একাধিক সহযোগী। প্রেজ়েন্টিং পার্টনার ‘মারুতি সুজ়ুকি অ্যারেনা’। অন্যান্য সহযোগীরা হলেন ওয়েডিং পার্টনার ‘এবিপি ওয়ানস্টপ ওয়েডিং’, ফ্যাশন পার্টনার ‘কসমো বাজ়ার’, নলেজ পার্টনার ‘টেকনো ইন্ডিয়া ইউনিভার্সিটি’, ব্যাঙ্কিং পার্টনার ‘ইউনিয়ন ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়া’, কমফোর্ট পার্টনার ‘কার্লন’।
এই প্রতিবেদনটি ‘আনন্দ উৎসব’ ফিচারের একটি অংশ।