‘থ্রেড ল্যান্টার্ন’ বা সুতোর লণ্ঠন।
মা কালী পূজিত হন অমাবস্যা তিথিতে। চাঁদের অনুপস্থিতিতে রাত্রি আলোকিত হয়ে ওঠে প্রদীপের আলোয়। রাস্তায় রাস্তায় হলুদ আলোর চাঁদোয়া, আকাশও আলোকময় নানা রঙে— দীপাবলির এই রাতের অপেক্ষায় থাকে গোটা ভারত। আলোর উৎসবে কেমন হবে আপনার অন্দরমহলের আলোকসজ্জা? তারই কিছু হদিশ রইল নীচে।
১) রঙিন সুতো দিয়ে লণ্ঠন বানানো যায় জানতেন? এই দীপাবলিতে ঘর সাজানোর জন্য বানিয়ে ফেলুন। একটি বাটিতে আঠা ও জল মেশান। তাতে একটি উলের গোলা ফেলে দিন। এবার একটি বেলুন ফুলিয়ে তার গায়ে আঠা লাগানো উলের গোলাটি ছড়িয়ে দিন নিজের পছন্দের নকশা অনুযায়ী। আঠা শুকিয়ে গেলে বেলুন ফাটিয়ে দিন। ভিতরের ফাঁপা অংশে টুনির আলো ঢুকিয়ে দিন। তৈরি আপনার ‘থ্রেড ল্যান্টার্ন।’ ঘরের পছন্দের জায়গায় টাঙিয়ে দিন।
২) দীপাবলিতে বাড়ির বারান্দায় বা ছাদে মোমবাতি জ্বালানোর চল বহু প্রাচীন। কিন্তু বসার জায়গায় সাজিয়ে তুলতে পারেন অভিনব আলোকসজ্জায়। হুলা হুপের চার পাশে টুনির আলো জড়িয়ে জড়িয়ে বানাতে পারেন হুলা হুপের ঝা়ড়বাতি। তার পর সিলিংয়ের কোনও অংশে ঝুলিয়ে দিন। অতিথিরাও চমৎকৃত হবে এই নতুনত্বে।
৩) বাড়িতে মদ্যপানের আসর বসলে এখন অনেকেই আসর শেষে রেখে দেন মদের বোতল। সেই বোতল সদ্য হয়ে উঠছে গৃহসজ্জার অঙ্গ। দীপাবলিতেও কাজে লাগাতে পারেন মদের বোতল। বোতলের গায়ে অ্যাক্রিলিক, স্প্রে পেন্ট বা ফ্যাব্রিক রঙে পছন্দসই নকশা এঁকে নিন। আর ভিতরে ঢুকিয়ে দিন টুনির আলো। এ বার এগুলি ঘরের কোণেও রাখতেও পারেন, আবার ঝুলিয়ে দিতে পারেন সিলিং থেকে।
৪) শুধু মদের বোতল নয়, কাচের শিশিতেও রাখতে পারেন টুনির আলো। এটি হতে পারে আর এক রকমের আলোকসজ্জা।
৫) বাড়িতে অনেকেই কৃত্রিম গাছ রাখতে পছন্দ করেন ঘর সাজানোর সামগ্রী হিসেবে। তার উপরে জড়িয়ে দিতে পারেন টুনির আলো। অন্য রকম রূপ পাবে আপনার চেনা ঘর।
৭) মোমবাতি দিয়ে ঘর সাজানো খুবই জনপ্রিয়। কিন্তু একই সঙ্গে তা খুব পুরনোও। কিছু রঙিন কাচের চুড়ি একটির উপর একটি রেখে সাজিয়ে তার মাঝখানে মোমবাতি রাখলে তৈরি হবে অপূর্ব ল্যাম্পশেড।
৮) সব কিছুর পরেও মাটির প্রদীপের আকর্ষণকে কিছু টেক্কা দিতে পারেনি। বারান্দার রেলিং বা ছাদে ছোট ছোট মাটির প্রদীপ দিয়ে সাজালে তার আবেদন চিরন্তন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy